সার্কের আসল নাম কি
সার্কের আসল নাম হল দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা। সংস্থাটির ইংরেজি নাম হল South Asian Association for Regional Cooperation (SAARC)।
সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশগুলো হল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ এবং ভুটান। ২০০৭ সালে আফগানিস্তান সার্কের সদস্যপদ লাভ করে।
সার্কের লক্ষ্য হল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা। সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হয়।
সার্কের সদর দপ্তর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।
সার্কের বর্তমান চেয়ারম্যান কে
২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সার্কের বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মো. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
সার্কের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ড. মোমেন বলেন, “সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধিতে আমি আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করব।”**
সার্কের চেয়ারম্যানের মেয়াদকাল এক বছর।
সার্ক এর সর্বশেষ সদস্য দেশ কোনটি?
সার্ক এর সর্বশেষ সদস্য দেশ হল আফগানিস্তান। ২০০৭ সালের ১৪তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে আফগানিস্তান সার্ক এর সদস্যপদ লাভ করে।
সার্ক এর বর্তমান সদস্য দেশগুলো হল:
- আফগানিস্তান
- বাংলাদেশ
- ভুটান
- ভারত
- মালদ্বীপ
- নেপাল
- পাকিস্তান
- শ্রীলঙ্কা
সার্কের ১৭ তম মহাসচিব কে?
সার্কের ১৭ তম মহাসচিব হলেন গোলাম সারওয়ার, একজন বাংলাদেশী কূটনীতিক। তিনি ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি এ পদে যোগদান করেন।**
সারওয়ার ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ফরেন অ্যাফেয়ার্স)-এর ১০তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।**
সারওয়ার ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ওমান ও সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং জেদ্দায় কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।**
সারওয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতি বিষয়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।**
সার্কের জনসংখ্যা কত
২০২৩ সালের হিসাবে, সার্কের জনসংখ্যা প্রায় ১.৯৫ বিলিয়ন। সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা ভারতের, যার জনসংখ্যা প্রায় ১.৪৫ বিলিয়ন। এরপর আছে বাংলাদেশ, যার জনসংখ্যা প্রায় ১৭০ মিলিয়ন।
সার্কের জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০%। সার্কের দেশগুলোর মধ্যে দারিদ্র্য, অসমতা এবং অন্যান্য সমস্যা রয়েছে। সার্কের লক্ষ্য হল এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
সার্ক কয়টি দেশ নিয়ে গঠিত
সার্ক ৯টি দেশ নিয়ে গঠিত।
- আফগানিস্তান
- বাংলাদেশ
- ভুটান
- ভারত
- মালদ্বীপ
- নেপাল
- পাকিস্তান
- শ্রীলঙ্কা
সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশগুলো হল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ এবং ভুটান। ২০০৭ সালে আফগানিস্তান সার্কের সদস্যপদ লাভ করে।
সার্কের লক্ষ্য হল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা। সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হয়।
সার্কের সদর দপ্তর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।
সার্ক কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়
সার্ক ১৯৮৫ সালের ৮ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশগুলো হল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ এবং ভুটান। ২০০৭ সালে আফগানিস্তান সার্কের সদস্যপদ লাভ করে।
সার্কের লক্ষ্য হল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা। সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হয়।
সার্কের সদর দপ্তর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।
সার্ককে সক্রিয় করার সর্বশেষ চেষ্টাও ব্যর্থ
সার্ককে সক্রিয় করার সর্বশেষ চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি সার্কের ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দেন। তিনি প্রস্তাব করেন, ভারত যদি ইসলামাবাদে অংশ না নিতে চায় তাহলে তারা ভার্চুয়ালি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পারে।
ভারত এই প্রস্তাব তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঐকমত্য ছাড়া শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সুযোগ নেই। সার্ক সনদ অনুযায়ী সদস্য দেশগুলোর সবাই একমত হলেই কেবল শীর্ষ সম্মেলন হতে পারে।
ভারত প্রত্যাখ্যান করার পর পাকিস্তানও আর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে সার্ককে সক্রিয় করার সর্বশেষ চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে।
সার্ককে সক্রিয় করার ব্যর্থতার কারণগুলো হল:
- ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধ সার্কের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে।
- অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অনাগ্রহ: সার্কের অন্যান্য সদস্য দেশগুলোও অনেক ক্ষেত্রে সার্কের কার্যক্রমে অনাগ্রহী। তারা মনে করে, সার্ক তাদের স্বার্থে কাজ করছে না।
- সার্কের কাঠামোর দুর্বলতা: সার্কের কাঠামো দুর্বল। এতে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।
সার্ককে সক্রিয় করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:
- ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা করা: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা হলে সার্কের কার্যক্রম সহজ হবে।
- সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা: সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করলে সার্কের কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হবে।
- সার্কের কাঠামো সংস্কার করা: সার্কের কাঠামো সংস্কার করে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
সার্কের ভবিষ্যৎ কি অনিশ্চিত থেকে যাবে
সার্কের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সার্ককে সক্রিয় করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে, তবে সেগুলো সহজ নয়।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা করা সবচেয়ে কঠিন কাজ। এই বিরোধ মীমাংসা না হলে সার্ককে সক্রিয় করা সম্ভব নয়।
সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করাও সহজ নয়। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন মতপার্থক্য রয়েছে। এই মতপার্থক্যগুলো দূর না হলে সার্কের কার্যক্রমে অগ্রগতি করা সম্ভব হবে না।
সার্কের কাঠামো সংস্কার করা কিছুটা সহজ হতে পারে। তবে সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করতে হলে কাঠামো সংস্কার অবশ্যই করতে হবে।
সার্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে:
- ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মীমাংসায় কতটা অগ্রগতি হয়।
- সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কতটা উদ্যোগ নেওয়া হয়।
- সার্কের কাঠামো সংস্কারের জন্য কতটা সমর্থন পাওয়া যায়।
যদি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা হয়, সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি হয় এবং সার্কের কাঠামো সংস্কার হয়, তাহলে সার্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হতে পারে। তবে এই শর্তগুলো পূরণ করা সহজ নয়। সেক্ষেত্রে সার্কের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সার্ক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা
সার্ক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা
সার্ক হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি আঞ্চলিক সংস্থা। এর সদস্য দেশগুলো হল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ এবং ভুটান।
সার্কের লক্ষ্য হল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা। এর মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তাও অন্তর্ভুক্ত।
সার্কের আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে:
সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা: সার্ক সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, সন্ত্রাসবাদের আর্থিক উৎস বন্ধ করা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ: সার্ক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে অস্ত্রের অবৈধ বাণিজ্য রোধ করা এবং অস্ত্রের অপব্যবহার রোধ করা।
জঙ্গিবাদ মোকাবেলা: সার্ক জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে জঙ্গিদের আর্থিক উৎস বন্ধ করা এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি।
মাদক পাচার রোধ: সার্ক মাদক পাচার রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে মাদক পাচারের আর্থিক উৎস বন্ধ করা এবং মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।
সার্কের আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত কার্যক্রমগুলোর কিছু সাফল্য রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, সন্ত্রাসবাদের আর্থিক উৎস বন্ধে কিছু অগ্রগতি এবং জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় কিছু অগ্রগতি। তবে, সার্কের আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত কার্যক্রমগুলোর কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:**
- ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ সার্কের আঞ্চলিক নিরাপত্তা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে।
- সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অনাগ্রহ: সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে আঞ্চলিক নিরাপত্তা কার্যক্রমে অনাগ্রহ রয়েছে।
- সার্কের কাঠামোর দুর্বলতা: সার্কের কাঠামো দুর্বল। এতে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।
সার্কের আঞ্চলিক নিরাপত্তা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করতে হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:
- ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা করা: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা হলে সার্কের আঞ্চলিক নিরাপত্তা কার্যক্রম সহজ হবে।
- সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা: সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করলে সার্কের আঞ্চলিক নিরাপত্তা কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হবে।
- সার্কের কাঠামো সংস্কার করা: সার্কের কাঠামো সংস্কার করে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
সার্কের আঞ্চলিক নিরাপত্তা কার্যক্রমগুলোকে আরও কার্যকর করতে হলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা হলে সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। এতে সার্কের আঞ্চলিক নিরাপত্তা কার্যক্রম আরও কার্যকর হবে।