একাত্তরের দিনগুলি গল্পের মূলভাব হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা এবং সেই যুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগের মহত্ত্ব। গল্পের মাধ্যমে লেখিকা জাহানারা ইমাম তার ছেলে রুমী ও স্বামী শরীফ ইমামের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং তাদের শহীদ হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেছেন।
গল্পে দেখা যায়, রুমী ও শরীফ ইমাম দুজনেই দেশপ্রেমিক ছিলেন এবং তারা স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।
গল্পের মাধ্যমে লেখিকা আরও দেখাতে চেয়েছেন যে, মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি গণযুদ্ধ। এই যুদ্ধে শুধুমাত্র সশস্ত্র যোদ্ধারাই অংশগ্রহণ করেননি, সাধারণ মানুষও এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। তারা পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল এবং তাদেরকে পরাজিত করতে সাহায্য করেছিল।
গল্পের শেষে লেখিকা বলেছেন, “আমার ছেলে রুমী, আমার স্বামী শরীফ ইমাম, তারা দুজনেই দেশকে ভালোবেসেছিলেন। তারা এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের আত্মত্যাগ আমাদেরকে চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে।”
গল্পের মূলভাব নিম্নরূপ:
- মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি গণযুদ্ধ।
- মুক্তিযুদ্ধে শহীদরা আমাদের জাতির অহংকার।
- দেশপ্রেম আমাদের জাতির জন্য অপরিহার্য।
১০ই মে সোমবার ১৯৭১
১০ই মে সোমবার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। এই দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় গণহত্যার শুরু করে। তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করে। এই দিনটিকে “গণহত্যা দিবস” হিসাবেও উল্লেখ করা হয়।
১০ই মে সোমবার সকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। তারা প্রথমে রাজধানীর মিরপুরে একটি পাবলিক স্কুলের ছাত্রদের হত্যা করে। এরপর তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের লক্ষ্য করে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং আশেপাশের এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালায়। এই গুলিবর্ষণে অনেক ছাত্র নিহত হয়।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী শুধুমাত্র ছাত্রদেরই হত্যা করেনি, তারা সাধারণ মানুষকেও হত্যা করে। তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চালায়। এই গণহত্যার মধ্যে রয়েছে:
- মিন্টো রোড গণহত্যা: পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মিন্টো রোডে একটি জনসভায় উপস্থিত লোকজনকে হত্যা করে।
- মহাখালী গণহত্যা: পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মহাখালীতে একটি ট্রেনে থাকা লোকজনকে হত্যা করে।
- কারওয়ান বাজার গণহত্যা: পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কারওয়ান বাজারে একটি বাজারে থাকা লোকজনকে হত্যা করে।
১০ই মে সোমবার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় চালানো গণহত্যা ছিল একটি ভয়াবহ ঘটনা। এই গণহত্যায় প্রায় ৩০০০ মানুষ নিহত হয়। এই গণহত্যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই গণহত্যার ফলে বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তারা মুক্তিযুদ্ধে আরও বেশি করে অংশগ্রহণ করে।
১০ই মে সোমবার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় চালানো গণহত্যার স্মরণে বাংলাদেশে প্রতি বছর এই দিনটিকে “গণহত্যা দিবস” হিসাবে পালন করা হয়।
১২ই মে বুধবার ১৯৭১
১২ই মে বুধবার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। এই দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় গণহত্যা চালানোর পর, বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে আরও বেশি করে অংশগ্রহণ করে।
১২ই মে বুধবার সকালে, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। ছাত্র, যুবক, শ্রমিক এবং সাধারণ মানুষ পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। তারা পাকিস্তানি সেনাদের গুলির মুখে দাঁড়িয়ে তাদেরকে প্রতিহত করে।
ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের পাশাপাশি, দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি চলতে থাকে। ১২ই মে বুধবার, চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়। মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্বে, চট্টগ্রামে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
১২ই মে বুধবার পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ওঠা ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই প্রতিরোধের ফলে, পাকিস্তানি সেনারা ঢাকায় তাদের অবস্থান শক্ত করতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে পরিস্থিতি আরও অনুকূল হয়ে ওঠে।
১২ই মে বুধবার পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের স্মরণে বাংলাদেশে প্রতি বছর এই দিনটিকে “প্রতিরোধ দিবস” হিসাবে পালন করা হয়।
১২ই মে বুধবার পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল:
- ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং আশেপাশের এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের সাথে লড়াই করে।
- চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনীর গঠন: চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়। মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্বে, চট্টগ্রামে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
- ময়মনসিংহে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ: ময়মনসিংহে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
- বরিশালে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ: বরিশালে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
১২ই মে বুধবার পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই প্রতিরোধের ফলে, বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং তারা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য আরও বেশি করে সংগ্রাম করে।
১৭ই মে সোমবার ১৯৭১
১৭ই মে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। এই দিনে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
১৭ই মে সোমবার সকালে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা বাংলাদেশের মানুষকে উৎসাহিত করে। তারা পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে লড়াই করতে শুরু করে।
১৭ই মে সোমবার বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ হল:
- “আমি, শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের প্রথম গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি।”
- “পূর্ব পাকিস্তান আজ থেকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, যার নাম বাংলাদেশ।”
- “আমি আহ্বান জানাচ্ছি, সমস্ত বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে।”
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণা ছিল। এই ঘোষণার ফলে, বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে লড়াই করতে উৎসাহিত হয় এবং তারা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য আরও বেশি করে সংগ্রাম করে।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার পর, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আরও গণতান্ত্রিক এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং তারা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য আরও বেশি করে সংগ্রাম করে।
২৫ শে মে মঙ্গলবার ১৯৭১
২৫শে মে মঙ্গলবার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। এই দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় অপারেশন সার্চলাইট নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী আন্দোলন দমন করা এবং বাংলাদেশের মানুষকে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলানো।
২৫শে মে মঙ্গলবার রাতে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আক্রমণ চালায়। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় যাদুঘর, রেসকোর্স ময়দান এবং অন্যান্য সরকারি ভবনগুলিতে হামলা চালায়। তারা নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করে এবং বাড়িঘর ধ্বংস করে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় অপারেশন সার্চলাইট নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করার ফলে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে লড়াই করতে শুরু করে।
২৫শে মে মঙ্গলবার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় অপারেশন সার্চলাইট নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করার কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল:
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ: পাকিস্তানি সেনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হামলা চালায়। তারা ছাত্রদের হত্যা করে এবং ক্যাম্পাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
- জাতীয় যাদুঘরে পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ: পাকিস্তানি সেনারা জাতীয় যাদুঘরে হামলা চালায়। তারা যাদুঘরের সংগ্রহশালা ধ্বংস করে দেয়।
- রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ: পাকিস্তানি সেনারা রেসকোর্স ময়দানে হামলা চালায়। তারা সেখানে উপস্থিত লোকজনকে হত্যা করে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় অপারেশন সার্চলাইট নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করার ফলে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই অভিযানের ফলে, বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং তারা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য আরও বেশি করে সংগ্রাম করে।
৫ইসেপ্টেম্বর রবিবার ১৯৭১
৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে ভারত বাংলাদেশকে সামরিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার ফলে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
৫ই সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক সাহায্যের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সামরিক সাহায্য দেবে।”
ভারতের সামরিক সাহায্যের ঘোষণার ফলে, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা আরও বেশি করে সাহসী হয়ে ওঠে। তারা পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে লড়াই করতে শুরু করে।
ভারতের সামরিক সাহায্যের ফলে, মুক্তিযুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তিত হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং তারা পাকিস্তানি সেনাদেরকে পিছু হটতে বাধ্য করে।
৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই দিনের ঘোষণার ফলে, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়।
ভারতের সামরিক সাহায্যের ফলে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিম্নলিখিত পরিবর্তনগুলি দেখা যায়:
- মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সাহস এবং ঐক্য বৃদ্ধি পায়।
- পাকিস্তানি সেনাদের মনোবল ভেঙে যায়।
- মুক্তিযুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তিত হয়।
ভারতের সামরিক সাহায্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সাহায্যের ফলে, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনে সক্ষম হয়।
১১ ই অক্টোবর সোমবার ১৯৭১
১১ ই অক্টোবর ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে, ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এই ঘটনাটিকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
১১ ই অক্টোবর সোমবার সকালে, ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে আক্রমণ চালায়। তারা পাকিস্তানি সেনাদের প্রতিরোধকে পরাস্ত করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার ফলে, মুক্তিযুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তিত হয়। পাকিস্তানি সেনারা ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যস্ত হয়ে পড়ে এবং তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তাদের মনোযোগ কমিয়ে দেয়।
১১ ই অক্টোবর ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই দিনের ঘটনার ফলে, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার ফলে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিম্নলিখিত পরিবর্তনগুলি দেখা যায়:
- পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ আরও সহজ হয়ে ওঠে।
- পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটতে শুরু করে।
- বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পথে আরও এগিয়ে যায়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সাহায্যের ফলে, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনে সক্ষম হয়।
১১ ই অক্টোবর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল:
- ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
- পাকিস্তানি সেনারা ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
- মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে লড়াই করতে শুরু করে।
১১ ই অক্টোবর ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনের ঘটনাগুলি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে।
১৬ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ১৯৭১
১৬ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বিনাশর্তে আত্মসমর্পণ করে। এই ঘটনাটিকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
১৬ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে, ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে, ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ এবং বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু সুফিয়ান বিনাশর্তে আত্মসমর্পণপত্র স্বাক্ষর করেন। এই আত্মসমর্পণের ফলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথ সুগম হয়।
১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই দিনের বিজয়ের ফলে, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়।
১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল:
- ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বিনাশর্তে আত্মসমর্পণ করে।
- বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবস পালন করা হয়।
১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনের বিজয়ের মাধ্যমে, বাংলাদেশ একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
১৬ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বিনাশর্তে আত্মসমর্পণ করে। এই ঘটনাটিকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
১৬ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে, ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে, ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ এবং বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু সুফিয়ান বিনাশর্তে আত্মসমর্পণপত্র স্বাক্ষর করেন। এই আত্মসমর্পণের ফলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথ সুগম হয়।
১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই দিনের বিজয়ের ফলে, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়।
১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল:
- ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বিনাশর্তে আত্মসমর্পণ করে।
- বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবস পালন করা হয়।
১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনের বিজয়ের মাধ্যমে, বাংলাদেশ একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।