ডায়াবেটিস কমানোর জন্য কি কি খাওয়া উচিত?
ডায়াবেটিস কমানোর জন্য নিম্নলিখিত খাবারগুলি খাওয়া উচিত:
- ফলমূল ও শাকসবজি: ফলমূল ও শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার থাকে। ফাইবার শরীরে শর্করার শোষণ ধীর করে দিয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি করে ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া উচিত।
- শস্য: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সাদা চালের পরিবর্তে লাল চাল, ঢেঁকিছাঁটা চাল, বার্লি, ওটস, কোরানো গম ইত্যাদি খাওয়া ভালো। এই শস্যগুলিতে ফাইবার বেশি থাকে এবং এগুলি ধীরে ধীরে শরীরে শোষিত হয়।
- প্রোটিন: প্রোটিন শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এটি পেশী গঠন ও মেরামত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ক্ষত নিরাময়ের জন্য প্রয়োজনীয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, শিম ইত্যাদি খাওয়া ভালো।
- বাদাম ও বীজ: বাদাম ও বীজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে। এগুলি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন থাকে। এগুলি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস কমানোর জন্য নিম্নলিখিত খাবারগুলি পরিহার করা উচিত:
- চিনিযুক্ত পানীয়: চিনিযুক্ত পানীয় রক্তের শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের কোমল পানীয়, সোডা, জুস, চা, কফি ইত্যাদি চিনিযুক্ত পানীয় পান করা উচিত নয়।
- ফাস্ট ফুড: ফাস্ট ফুডে প্রচুর পরিমাণে চিনি, চর্বি ও লবণ থাকে। এগুলি রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায় এবং হৃদরোগ, স্ট্রোক ও অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলা উচিত।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে চিনি, চর্বি ও লবণ থাকে। এগুলি রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায় এবং হৃদরোগ, স্ট্রোক ও অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে একজন ডায়েটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায়
সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায়। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে তাদের খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী খাবারগুলি হল:
- ফলমূল ও শাকসবজি: ফলমূল ও শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার থাকে। ফাইবার শরীরে শর্করার শোষণ ধীর করে দিয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি করে ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া উচিত।
- শস্য: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সাদা চালের পরিবর্তে লাল চাল, ঢেঁকিছাঁটা চাল, বার্লি, ওটস, কোরানো গম ইত্যাদি খাওয়া ভালো। এই শস্যগুলিতে ফাইবার বেশি থাকে এবং এগুলি ধীরে ধীরে শরীরে শোষিত হয়।
- প্রোটিন: প্রোটিন শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এটি পেশী গঠন ও মেরামত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ক্ষত নিরাময়ের জন্য প্রয়োজনীয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, শিম ইত্যাদি খাওয়া ভালো।
- বাদাম ও বীজ: বাদাম ও বীজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে। এগুলি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন থাকে। এগুলি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর খাবারগুলি হল:
- চিনিযুক্ত পানীয়: চিনিযুক্ত পানীয় রক্তের শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের কোমল পানীয়, সোডা, জুস, চা, কফি ইত্যাদি চিনিযুক্ত পানীয় পান করা উচিত নয়।
- ফাস্ট ফুড: ফাস্ট ফুডে প্রচুর পরিমাণে চিনি, চর্বি ও লবণ থাকে। এগুলি রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায় এবং হৃদরোগ, স্ট্রোক ও অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলা উচিত।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে চিনি, চর্বি ও লবণ থাকে। এগুলি রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায় এবং হৃদরোগ, স্ট্রোক ও অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে একজন ডায়েটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করা উচিত। একজন ডায়েটিশিয়ান রোগীর ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী একটি উপযুক্ত খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করতে পারবেন।
ডায়াবেটিস রোগীদের সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা ছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম করাও জরুরি। ব্যায়াম রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস কমানোর চাবি কাঠি এই সবজি
ডায়াবেটিস কমানোর চাবি কাঠি হল সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা। আর এই খাদ্য পরিকল্পনায় শাকসবজির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ডায়াবেটিস কমানোর জন্য উপকারী শাকসবজিগুলি হল:
- টমেটো: টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। লাইকোপেন রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- পালং শাক: পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার থাকে। ফাইবার শরীরে শর্করার শোষণ ধীর করে দিয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- গাজর: গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি ও বিটা ক্যারোটিন থাকে। বিটা ক্যারোটিন রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- ব্রোকলি: ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার থাকে। ফাইবার শরীরে শর্করার শোষণ ধীর করে দিয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- বেগুন: বেগুনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার থাকে। ফাইবার শরীরে শর্করার শোষণ ধীর করে দিয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
এই শাকসবজিগুলি ছাড়াও আরও অনেক শাকসবজি ডায়াবেটিস কমানোর জন্য উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি করে ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস কমানোর জন্য শাকসবজি খাওয়ার কিছু টিপস:
- শাকসবজি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- শাকসবজি রান্নার সময় অতিরিক্ত তেল বা লবণ ব্যবহার করবেন না।
- শাকসবজির সালাদ বা স্যুপ তৈরি করে খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস কমানোর জন্য শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা এবং নিয়মিত ব্যায়ামও জরুরি।
এই ১০টি উপায় মানলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে
ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্যা করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের মতো জীবনযাপনের পরিবর্তনগুলি প্রয়োজন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এই ১০টি উপায় মানলে সাহায্য পেতে পারেন:
সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কম কার্বোহাইড্রেট, কম চর্বি এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। কার্বোহাইড্রেট রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে, তাই এটি সীমিত করা গুরুত্বপূর্ণ। চর্বিও রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে, তাই এটিও সীমিত করা উচিত। ফাইবার রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, তাই এটি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত।
নিয়মিত ব্যায়াম: ব্যায়াম রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার ব্যায়াম বা ৭৫ মিনিট তীব্র তীব্রতার ব্যায়াম করা উচিত।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
চাপ কমানো: চাপ রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান বা অন্যান্য স্ট্রেস-ম্যানেজমেন্ট কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিয়মিত রক্তের শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন: নিয়মিত রক্তের শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা কতটা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে তা দেখতে সাহায্য করবে এবং প্রয়োজনে আপনার চিকিৎসা পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনার জন্য সেরা চিকিৎসা পরিকল্পনা নির্ধারণ করতে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানে পর্যাপ্ত ঘুমানো, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা এবং অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়ানো।
নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনার জন্য কী গুরুত্বপূর্ণ তা নির্ধারণ করুন এবং সেই লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন।
আপনার লক্ষ্যগুলি অনুসরণ করুন: আপনার লক্ষ্যগুলি অনুসরণ করতে এবং আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি দেখতে সাহায্য করার জন্য একটি সহায়ক সমর্থন ব্যবস্থা তৈরি করুন।
আপনি একা নন মনে রাখুন: ডায়াবেটিস রয়েছে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন। আপনি একা নন এবং সাহায্য পাওয়ার জন্য অনেক সংস্থান উপলব্ধ রয়েছে।
এই উপায়গুলি অনুসরণ করে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে সাহায্য করতে পারেন।
যেসব প্রাকৃতিক উপায়ে কমবে ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস একটি জটিল রোগ যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধ, ইনসুলিন, লাইফস্টাইল পরিবর্তন ইত্যাদির প্রয়োজন হতে পারে। তবে কিছু প্রাকৃতিক উপায়ও রয়েছে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপায় হল:
- নিয়মিত ব্যায়াম: ব্যায়াম রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার ব্যায়াম বা ৭৫ মিনিট তীব্র তীব্রতার ব্যায়াম করা উচিত।
- সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা: সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কম কার্বোহাইড্রেট, কম চর্বি এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
- চাপ কমানো: চাপ রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান বা অন্যান্য স্ট্রেস-ম্যানেজমেন্ট কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এমন কিছু নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক উপাদান হল:
- হলুদ: হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- আদা: আদা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়।
- দারুচিনি: দারুচিনি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়।
- গ্রিন টি: গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- কফি: কফিতে থাকা ক্যাফিন রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এমন প্রাকৃতিক উপায়গুলি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে।
এখানে কিছু নির্দিষ্ট টিপস দেওয়া হল যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে:
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
- আপনার খাবারে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং ফলমূল অন্তর্ভুক্ত করুন।
- সম্পূর্ণ শস্য, ডাল এবং বাদাম খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিযুক্ত পানীয় এবং লাল মাংসের পরিমাণ কমিয়ে দিন।
- নিয়মিত রক্তের শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন।
এই টিপসগুলি অনুসরণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তবে এটি নির্ভর করে ডায়াবেটিসের ধরন এবং তীব্রতার উপর। টাইপ ১ ডায়াবেটিসের জন্য ওষুধ প্রয়োজন, কারণ এই ধরনের ডায়াবেটিসে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য ওষুধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, যদি রোগী জীবনযাপনের পরিবর্তনগুলি যথাযথভাবে অনুসরণ করে।
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কম কার্বোহাইড্রেট, কম চর্বি এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। কার্বোহাইড্রেট রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে, তাই এটি সীমিত করা গুরুত্বপূর্ণ। চর্বিও রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে, তাই এটিও সীমিত করা উচিত। ফাইবার রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, তাই এটি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত।
নিয়মিত ব্যায়াম: ব্যায়াম রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার ব্যায়াম বা ৭৫ মিনিট তীব্র তীব্রতার ব্যায়াম করা উচিত।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
চাপ কমানো: চাপ রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান বা অন্যান্য স্ট্রেস-ম্যানেজমেন্ট কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিয়মিত রক্তের শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন: নিয়মিত রক্তের শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা কতটা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে তা দেখতে সাহায্য করবে এবং প্রয়োজনে আপনার চিকিৎসা পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।
এই উপায়গুলি অনুসরণ করে অনেক টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগী ওষুধ ছাড়াই তাদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তবে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা সবসময়ই ভালো। ডাক্তার আপনার জন্য সেরা চিকিৎসা পরিকল্পনা নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারেন।
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু নির্দিষ্ট টিপস:
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
- আপনার খাবারে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং ফলমূল অন্তর্ভুক্ত করুন।
- সম্পূর্ণ শস্য, ডাল এবং বাদাম খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিযুক্ত পানীয় এবং লাল মাংসের পরিমাণ কমিয়ে দিন।
- নিয়মিত রক্তের শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন।
এই টিপসগুলি অনুসরণ করে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে সাহায্য করতে পারেন।