আর্সেনিক দূষণ কি? লক্ষণ ও প্রতিকার

আর্সেনিক দূষণ কি

আর্সেনিক দূষণ হল ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট একটি পরিবেশগত সমস্যা। আর্সেনিক একটি বিষাক্ত ধাতু যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। আর্সেনিক দূষণের ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে ত্বকের ক্ষত, ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং কিডনি রোগ।

আর্সেনিক প্রাকৃতিকভাবে ভূগর্ভস্থ পানিতে পাওয়া যায়। তবে, কিছু ভূতাত্ত্বিক অবস্থায় আর্সেনিকের মাত্রা খুব বেশি হতে পারে। এই অবস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • আর্সেনিক সমৃদ্ধ শিলা বা মাটি থেকে পানি প্রবেশ করার ফলে।
  • জলপ্রবাহের গতিপথের পরিবর্তনের ফলে।
  • ভূগর্ভস্থ পানিতে রাসায়নিকের ব্যবহারের ফলে।

আর্সেনিক দূষণ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় 200 মিলিয়ন মানুষ আর্সেনিক দূষিত পানি পান করে। বাংলাদেশে আর্সেনিক দূষণ একটি গুরুতর সমস্যা। দেশে প্রায় 30 মিলিয়ন মানুষ আর্সেনিক দূষিত পানি পান করে।

আর্সেনিক দূষণের ঝুঁকি কমাতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:

  • ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা পরীক্ষা করা।
  • আর্সেনিক দূষিত পানি পান করা থেকে বিরত থাকা।
  • আর্সেনিক দূষিত পানি পরিশোধন করার জন্য ফিল্টার ব্যবহার করা।

আর্সেনিক দূষণ একটি গুরুতর সমস্যা যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই সমস্যা মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা

আর্সেনিক একটি বিষাক্ত ধাতু যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা হল সেই মাত্রা যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা প্রতি লিটারে 0.01 মিলিগ্রাম। এর মানে হল যে প্রতি লিটার পানিতে 0.01 মিলিগ্রামের বেশি আর্সেনিক থাকা উচিত নয়।

বাংলাদেশে, আর্সেনিক দূষণ একটি গুরুতর সমস্যা। দেশে অনেক এলাকায় পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা WHO-এর সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।

আর্সেনিকের মাত্রা বেশি হলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ত্বকের ক্ষত
  • ক্যান্সার, বিশেষ করে ফুসফুসের ক্যান্সার
  • হৃদরোগ
  • কিডনি রোগ

আর্সেনিক দূষণের ঝুঁকি কমাতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:

  • ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা পরীক্ষা করা।
  • আর্সেনিক দূষিত পানি পান করা থেকে বিরত থাকা।
  • আর্সেনিক দূষিত পানি পরিশোধন করার জন্য ফিল্টার ব্যবহার করা।

আর্সেনিক দূষণ একটি গুরুতর সমস্যা যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই সমস্যা মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

বাংলাদেশ সরকার আর্সেনিক দূষণ মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য একটি জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।
  • আর্সেনিক দূষিত এলাকায় জনসাধারণকে সচেতন করা।
  • আর্সেনিক দূষিত পানি পরিশোধনের জন্য ফিল্টার বিতরণ করা।

এই পদক্ষেপগুলির ফলে আর্সেনিক দূষণের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *