যৌতুক প্রথা হলো বিবাহের সময় কনের পরিবার বরপক্ষকে প্রদান করা অর্থ, সম্পত্তি বা সেবা। যৌতুক প্রথা একটি সামাজিক প্রথা যা প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত।
যৌতুক প্রথার ইতিহাস
যৌতুক প্রথার ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন। প্রাচীন গ্রিস, রোম, ভারত, চীন ইত্যাদি দেশে যৌতুক প্রথা প্রচলিত ছিল। বাংলাদেশেও যৌতুক প্রথার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
ধারণা করা হয়, বাংলাদেশে যৌতুক প্রথার প্রচলন হয়েছিল কৃষিকাজের বিকাশের সাথে সাথে। কৃষিকাজের বিকাশের ফলে সম্পত্তির অধিকার পুরুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এতে নারীরা সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়। এই বঞ্চনার প্রতিক্রিয়ায় নারীদের পরিবার বরপক্ষকে যৌতুক প্রদান করতে শুরু করে।
যৌতুক প্রথার কুফল
যৌতুক প্রথার অনেক কুফল রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- দারিদ্র্য বৃদ্ধি: যৌতুক প্রথার কারণে দারিদ্র্য বৃদ্ধি পায়। কারণ, যৌতুক প্রদানের জন্য অনেক পরিবারকে তাদের সম্পত্তি বিক্রি করতে হয় বা ঋণ নিতে হয়।
- নারী নির্যাতন: যৌতুক প্রথার কারণে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পায়। যৌতুক না পেলে বরপক্ষ কন্যাকে নির্যাতন করে বা হত্যা করে।
- বিবাহ বিচ্ছেদ: যৌতুক প্রথার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ বৃদ্ধি পায়। যৌতুক না পেলে বরপক্ষ কন্যাকে তালাক দেয়।
- সমাজিক অবক্ষয়: যৌতুক প্রথার কারণে সামাজিক অবক্ষয় ঘটে। এটি সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।
যৌতুক প্রথা দূর করার উপায়
যৌতুক প্রথা দূর করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
- সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: যৌতুক প্রথার কুফল সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। এজন্য গণমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
- আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ: যৌতুক প্রথা নিরোধে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা জরুরি। এজন্য যৌতুক নিরোধ আইনকে আরও কঠোর করা এবং এ আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
- সরকারের উদ্যোগ: যৌতুক প্রথা নিরোধে সরকারকেও উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য সরকারকে যৌতুক নিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
যৌতুক প্রথা একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি দূর করার জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
যৌতুক প্রথার ইতিহাস
যৌতুক প্রথা একটি সামাজিক প্রথা যা প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত। যৌতুক প্রথার ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন। প্রাচীন গ্রিস, রোম, ভারত, চীন ইত্যাদি দেশে যৌতুক প্রথা প্রচলিত ছিল।
যৌতুক প্রথার উদ্ভব
যৌতুক প্রথার উদ্ভবের কারণ নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- সম্পত্তি বন্টন: প্রাচীনকালে সম্পত্তির অধিকার পুরুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এতে নারীরা সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হতো। এই বঞ্চনার প্রতিক্রিয়ায় নারীদের পরিবার বরপক্ষকে যৌতুক প্রদান করতে শুরু করে।
- বিবাহের ব্যয়: প্রাচীনকালে বিবাহের ব্যয় বরপক্ষের উপর বর্তাত। এতে অনেক পরিবার বিবাহের ব্যয় বহন করতে পারত না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কনের পরিবার বরপক্ষকে যৌতুক প্রদান করতে শুরু করে।
- বিবাহের সম্মতি: প্রাচীনকালে বিবাহের সম্মতি বরপক্ষের উপর বর্তাত। কন্যার পরিবারকে বরপক্ষের সম্মতি পেতে হলে যৌতুক প্রদান করতে হতো।
যৌতুক প্রথার বিকাশ
যৌতুক প্রথার বিকাশের সাথে সাথে এর ধরন ও পরিমাণও পরিবর্তিত হয়েছে। প্রাচীনকালে যৌতুক প্রথা মূলত অর্থ, সম্পত্তি বা সেবা প্রদানের মাধ্যমেই হয়ে থাকত। কিন্তু পরবর্তীকালে যৌতুকের মধ্যে শিক্ষিত, সুন্দরী, স্বাস্থ্যবান কন্যা, বিলাসবহুল আসবাবপত্র, গাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির চাহিদা দেখা দেয়।
যৌতুক প্রথার কুফল
যৌতুক প্রথার অনেক কুফল রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- দারিদ্র্য বৃদ্ধি: যৌতুক প্রথার কারণে দারিদ্র্য বৃদ্ধি পায়। কারণ, যৌতুক প্রদানের জন্য অনেক পরিবারকে তাদের সম্পত্তি বিক্রি করতে হয় বা ঋণ নিতে হয়।
- নারী নির্যাতন: যৌতুক প্রথার কারণে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পায়। যৌতুক না পেলে বরপক্ষ কন্যাকে নির্যাতন করে বা হত্যা করে।
- বিবাহ বিচ্ছেদ: যৌতুক প্রথার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ বৃদ্ধি পায়। যৌতুক না পেলে বরপক্ষ কন্যাকে তালাক দেয়।
- সমাজিক অবক্ষয়: যৌতুক প্রথার কারণে সামাজিক অবক্ষয় ঘটে। এটি সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।
যৌতুক প্রথা দূর করার উপায়
যৌতুক প্রথা দূর করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
- সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: যৌতুক প্রথার কুফল সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। এজন্য গণমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
- আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ: যৌতুক প্রথা নিরোধে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা জরুরি। এজন্য যৌতুক নিরোধ আইনকে আরও কঠোর করা এবং এ আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
- সরকারের উদ্যোগ: যৌতুক প্রথা নিরোধে সরকারকেও উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য সরকারকে যৌতুক নিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
যৌতুক প্রথা একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি দূর করার জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি
হ্যাঁ, যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। যৌতুক প্রথার কারণে সমাজে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- দারিদ্র্য বৃদ্ধি: যৌতুক প্রদানের জন্য অনেক পরিবারকে তাদের সম্পত্তি বিক্রি করতে হয় বা ঋণ নিতে হয়। এতে দারিদ্র্য বৃদ্ধি পায়।
- নারী নির্যাতন: যৌতুক না পেলে বরপক্ষ কন্যাকে নির্যাতন করে বা হত্যা করে। এতে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পায়।
- বিবাহ বিচ্ছেদ: যৌতুক না পেলে বরপক্ষ কন্যাকে তালাক দেয়। এতে বিবাহ বিচ্ছেদ বৃদ্ধি পায়।
- সমাজিক অবক্ষয়: যৌতুক প্রথার কারণে সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এটি সমাজের সার্বিক অবক্ষয় ঘটায়।
যৌতুক প্রথা একটি পুরুষতান্ত্রিক প্রথা। এই প্রথার মাধ্যমে নারীকে একজন পণ্য হিসেবে দেখা হয়। যৌতুক প্রথার কারণে নারীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়।
যৌতুক প্রথা দূর করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
- সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: যৌতুক প্রথার কুফল সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। এজন্য গণমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
- আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ: যৌতুক প্রথা নিরোধে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা জরুরি। এজন্য যৌতুক নিরোধ আইনকে আরও কঠোর করা এবং এ আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
- সরকারের উদ্যোগ: যৌতুক প্রথা নিরোধে সরকারকেও উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য সরকারকে যৌতুক নিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সমাজের সকল স্তরের মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সরকারের উদ্যোগের মাধ্যমে যৌতুক প্রথা দূর করা সম্ভব।
যৌতুকএকটি সামাজিক সমস্যা
যৌতুক একটি সামাজিক সমস্যা
যৌতুক হল বিয়ের সময় কনের পরিবার কর্তৃক বরের পরিবারকে প্রদত্ত অর্থ, সম্পত্তি বা অন্যান্য উপহার। যৌতুক প্রথা প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত রয়েছে, তবে বর্তমানে তা একটি সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
যৌতুক প্রথার ফলে নারীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। যৌতুক দেওয়া না হলে কন্যাকে বিয়ে দেওয়া হয় না, কিংবা বিয়ে হলেও তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। যৌতুক নিয়ে বিরোধের কারণে অনেক নারী হত্যা, আত্মহত্যা বা নির্যাতন থেকে আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়।
যৌতুক প্রথার ফলে সমাজ ও অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যৌতুকের জন্য কন্যার পরিবারকে অর্থ সংগ্রহ করতে হয়, যার ফলে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হয়। এছাড়াও, যৌতুকের জন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেরও প্রসার ঘটে।
যৌতুক প্রথা নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন। যৌতুক প্রথার কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং যৌতুক দেওয়া ও নেওয়ার বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে যৌতুক প্রথা নির্মূল করা সম্ভব।
যৌতুক প্রথার কারণ
যৌতুক প্রথার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা: পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীদেরকে সম্পত্তি হিসেবে দেখা হয়। এই ব্যবস্থায় মনে করা হয় যে, নারীদের বিয়ে দিয়ে বরের পরিবারের সম্পত্তি বাড়ানো যায়।
- সামাজিক প্রতিপত্তি: সমাজে অনেক সময় যৌতুক দেওয়াকে সামাজিক প্রতিপত্তি বা শ্রেণীগত অবস্থান প্রকাশের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
- অশিক্ষা ও কুসংস্কার: অশিক্ষা ও কুসংস্কারের কারণে অনেক মানুষ যৌতুক প্রথাকে নিয়মিত বিষয় হিসেবে মনে করে।
যৌতুক প্রথার প্রভাব
যৌতুক প্রথার নানা নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- নারী নির্যাতন: যৌতুক দেওয়া না হলে কন্যাকে বিয়ে দেওয়া হয় না, কিংবা বিয়ে হলেও তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। যৌতুক নিয়ে বিরোধের কারণে অনেক নারী হত্যা, আত্মহত্যা বা নির্যাতন থেকে আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়।
- অর্থনৈতিক ক্ষতি: যৌতুকের জন্য কন্যার পরিবারকে অর্থ সংগ্রহ করতে হয়, যার ফলে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হয়।
- অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রসার: যৌতুকের জন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেরও প্রসার ঘটে।
যৌতুক প্রথা নির্মূলে করণীয়
যৌতুক প্রথা নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন। এর জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
- যৌতুক প্রথার কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি: যৌতুক প্রথার কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে।
- যৌতুক দেওয়া ও নেওয়ার বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ: যৌতুক দেওয়া ও নেওয়ার বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে যৌতুক প্রথা নির্মূলে সহায়তা করা সম্ভব।
- পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন: পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন হলে যৌতুক প্রথার ভিত্তি দুর্বল হবে।
যৌতুক প্রথা একটি সামাজিক সমস্যা। এটি একটি সামাজিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করতে এবং এর নির্মূলে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সকলের সচেতনতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
যৌতুকের কারণে নারীর মর্যাদা পায়
যৌতুক হল বিয়ের সময় কনের পরিবার কর্তৃক বরের পরিবারকে প্রদত্ত অর্থ, সম্পত্তি বা অন্যান্য উপহার। যৌতুক প্রথা প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত রয়েছে, তবে বর্তমানে তা একটি সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
যৌতুক প্রথার ফলে নারীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। যৌতুক দেওয়া না হলে কন্যাকে বিয়ে দেওয়া হয় না, কিংবা বিয়ে হলেও তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। যৌতুক নিয়ে বিরোধের কারণে অনেক নারী হত্যা, আত্মহত্যা বা নির্যাতন থেকে আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়।
যৌতুক প্রথার ফলে সমাজ ও অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যৌতুকের জন্য কন্যার পরিবারকে অর্থ সংগ্রহ করতে হয়, যার ফলে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হয়। এছাড়াও, যৌতুকের জন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেরও প্রসার ঘটে।
যৌতুক প্রথা নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন। যৌতুক প্রথার কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং যৌতুক দেওয়া ও নেওয়ার বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে যৌতুক প্রথা নির্মূল করা সম্ভব।
যৌতুক প্রথার কারণ
যৌতুক প্রথার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা: পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীদেরকে সম্পত্তি হিসেবে দেখা হয়। এই ব্যবস্থায় মনে করা হয় যে, নারীদের বিয়ে দিয়ে বরের পরিবারের সম্পত্তি বাড়ানো যায়।
- সামাজিক প্রতিপত্তি: সমাজে অনেক সময় যৌতুক দেওয়াকে সামাজিক প্রতিপত্তি বা শ্রেণীগত অবস্থান প্রকাশের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
- অশিক্ষা ও কুসংস্কার: অশিক্ষা ও কুসংস্কারের কারণে অনেক মানুষ যৌতুক প্রথাকে নিয়মিত বিষয় হিসেবে মনে করে।
যৌতুক প্রথার প্রভাব
যৌতুক প্রথার নানা নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- নারী নির্যাতন: যৌতুক দেওয়া না হলে কন্যাকে বিয়ে দেওয়া হয় না, কিংবা বিয়ে হলেও তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। যৌতুক নিয়ে বিরোধের কারণে অনেক নারী হত্যা, আত্মহত্যা বা নির্যাতন থেকে আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়।
- অর্থনৈতিক ক্ষতি: যৌতুকের জন্য কন্যার পরিবারকে অর্থ সংগ্রহ করতে হয়, যার ফলে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হয়।
- অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রসার: যৌতুকের জন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেরও প্রসার ঘটে।
যৌতুক প্রথা নির্মূলে করণীয়
যৌতুক প্রথা নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন। এর জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
- যৌতুক প্রথার কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি: যৌতুক প্রথার কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে।
- যৌতুক দেওয়া ও নেওয়ার বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ: যৌতুক দেওয়া ও নেওয়ার বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে যৌতুক প্রথা নির্মূলে সহায়তা করা সম্ভব।
- পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন: পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন হলে যৌতুক প্রথার ভিত্তি দুর্বল হবে।
যৌতুক প্রথা একটি সামাজিক সমস্যা। এটি একটি সামাজিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করতে এবং এর নির্মূলে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সকলের সচেতনতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
যৌতুক দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ঘটায়ঃ সামাজিক জীবনে অশান্তির মূল কারণ হলো যৌতুক।বর ও কনে পক্ষের সম্মতিক্রমে উভয়ের মধ্যে বিবাহ বন্ধন ঘটে।
কিন্তু বিবাহের পর যৌতুকের লেনদেন বিরোধের সৃষ্টি হয় কনের বাবা যে সময়ে যে পরিমাণ যৌতুক প্রদান করতে চেয়েছিল আর তা না পারলে যৌতুকের অভিশপ্ত রুপ চোখে পড়ে।
বরের পরিবার থেকে ফোনের পরিবারকে যৌতুকের জন্য নানাভাবে চাপ দেওয়া হয়। এভাবে সংসার নেমে আসে অশান্তি। একপর্যায়ে যৌতুকের অভিশাপ এ সপে দিতে হয় নারী সুন্দর জীবনকে।
যৌতুকের কারণে পুরুষের লজ্জা হাস পায়ঃ যৌতুকের কারণে পুরুষের লজ্জা বহুগুণে হাস পায়।লোভী মানুষেরা সাধারণত এ লোভে কলুষিত পথে পা বাড়ায়। তারা লোককে সংবরণ করতে পারে না।
যে স্ত্রীকে নিয়ে ঘর করে, যে স্ত্রীকে ভালোবাসা দেয় সে পরিবার শ্বশুরবাড়িতে আতিথগ্রহণ করে,সে পরিবারের সাথে অশালীন আচরণ করতেও দ্বিধা করে না। শুধু তাই নয় যৌতুক আদায়ে পশু হতেও তাদের বিন্দুমাত্র কষ্ট হয় না।
যৌতুকের কারণে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অবাধ্যতাঃ যৌতুকের কারণে স্ত্রী স্বামীকে ডণ্ট কেয়ারভাব দেখায়। স্বামীর কথা শুনতে চায় না। এতে উভয়ের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া সম্ভব হয় না।
ফলে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত অশান্তি লেগেই থাকে সর্বক্ষণ। তাদের মধ্যে কখনো ভালোবাসা সৃষ্টি হয় না। স্বামী স্ত্রীকে কোন কিছু বোঝাতে গেলে সে ঠিকমত কথা শুনতে চায় না।
স্বামী শ্বশুর-শাশুড়িকেও সে পরোয়া করতে চায় না।এমনকি পুরো সংসার হাতে নিতে চায়।সবকিছু মিলে সংসারের আধিপত্য বিস্তার করে স্ত্রী। কাজেই যৌতুক গ্রহণের কারণেই স্ত্রীর মধ্যে এ অবাধ্যতা সৃষ্টি হয়।
যৌতুকের কারণে নারীনির্যাতন বৃদ্ধি পায়ঃ নারী নির্যাতনের মূল কারণ হিসেবে যৌতুক কে অভিহিত করা যায়। যৌতুকের কারণে মানুষ পশুতে পরিণত হয়ে যায়।
কোন পরিবার যৌতুকের কারণে মানসিকভাবে নির্যাতন করে। তিলে তিলে তাকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেয়। আবার কিছু পরিবার আছে যারা শারীরিক ও মানসিক উভয় ধরনের নির্যাতন করে।
মূলত অশিক্ষার কারণেই এটি হয়ে থাকে। পত্রিকার পাতা উল্টালে প্রতিনিয়ত যৌতুকের নির্মম নির্যাতনের চিত্র চোখে পড়ে।
গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া লাঠিপেটা করা উত্তপ্ত রড দিয়ে ছ্যাকা দেওয়া প্রবৃত্তি পৌঁছলে স্বামীর নারীকে নির্যাতন করে।