হিমোগ্লোবিন এর কাজ কি
হিমোগ্লোবিন হল একটি প্রোটিন যা লোহিত রক্ত কণিকায় পাওয়া যায়। এটি অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহনের জন্য দায়ী। হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হল:
- ফুসফুস থেকে অক্সিজেন পরিবহন করা: হিমোগ্লোবিন ফুসফুসের অ্যালভিওলিতে অক্সিজেনকে আবদ্ধ করে। এরপর এটি অক্সিজেনযুক্ত রক্ত হিসাবে শরীরের অন্যান্য অংশে পরিবহন করে।
- কোষ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহন করা: কোষে বিপাকের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয়। হিমোগ্লোবিন কার্বন ডাই অক্সাইডকে আবদ্ধ করে এবং এটিকে ফুসফুসে ফেরত নিয়ে যায়।
- শরীরের pH নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করা: হিমোগ্লোবিন রক্তে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরের pH স্তর নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হিমোগ্লোবিনের গঠন দুটি অংশ নিয়ে গঠিত:
- হেম: হিমোগ্লোবিনের কেন্দ্রীয় অংশ, যা একটি লোহার পরমাণু ধারণ করে। লোহার পরমাণু অক্সিজেনকে আবদ্ধ করার জন্য দায়ী।
- গ্লোবিন: হেমের চারপাশে একটি প্রোটিন যা হিমোগ্লোবিনকে লোহিত রক্ত কণিকার পৃষ্ঠে সংযুক্ত করে।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে অ্যানিমিয়া হয়। অ্যানিমিয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং ঝিম ধরা।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: আয়রন হল হিমোগ্লোবিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে লাল মাংস, মাছ, ডিম, শাকসবজি এবং বাদাম।
- ভিটামিন বি12 সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: ভিটামিন বি12 হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনে সহায়তা করে। ভিটামিন বি12 সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মাংস, মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য এবং দানা শস্য।
- ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: ফলিক অ্যাসিড হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে সবুজ শাকসবজি, লেবু, কমলা, বিনস এবং মটরশুটি।
হিমোগ্লোবিন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন যা শরীরের জন্য অপরিহার্য। এটি অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহনের জন্য দায়ী, পাশাপাশি শরীরের pH স্তর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা কত?