বাজেট হল একটি দেশের বা সরকারের আয় এবং ব্যয়ের একটি পরিকল্পনা। এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, সাধারণত এক বছরের জন্য করা হয়। বাজেট সরকারের আর্থিক অবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং এটি সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনগণের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
বাজেটের দুটি প্রধান উদ্দেশ্য রয়েছে:
- আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা: বাজেট সরকারের আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে। এটি সরকারের ঋণের পরিমাণ কমাতে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
- সরকারের লক্ষ্যগুলি অর্জন করা: বাজেট সরকারের লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে। এটি জনগণের চাহিদা পূরণ এবং অর্থনীতির উন্নতি করতে সহায়তা করে।
বাজেট প্রণয়নের সময়, সরকার নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করে:
- আর্থিক অবস্থা: সরকারের আর্থিক অবস্থা, যার মধ্যে রয়েছে রাজস্ব আয়, ব্যয় এবং ঋণের পরিমাণ।
- জনগণের চাহিদা: জনগণের চাহিদা, যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অবকাঠামো।
- অর্থনৈতিক লক্ষ্য: সরকারের অর্থনৈতিক লক্ষ্য, যেমন জিডিপি বৃদ্ধি বা বেকারত্ব কমানো।
বাজেট প্রণয়ন একটি জটিল প্রক্রিয়া যা সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন। বাজেট সাধারণত অর্থ মন্ত্রণালয় দ্বারা প্রণয়ন করা হয় এবং জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হয়।
বাজেটের বিভিন্ন অংশ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- আয়: সরকারের আয় রাজস্ব আয় এবং অ-রাজস্ব আয়ের সমন্বয়ে গঠিত। রাজস্ব আয়ের মধ্যে রয়েছে কর, ফি এবং অন্যান্য সংগ্রহ। অ-রাজস্ব আয়ের মধ্যে রয়েছে সম্পদ বিক্রয়, ঋণ এবং অন্যান্য উৎস থেকে আয়।
- ব্যয়: সরকারের ব্যয়কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়: চলতি ব্যয় এবং উন্নয়ন ব্যয়। চলতি ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে বেতন, অবসর ভাতা, সুদ এবং অন্যান্য ব্যয়। উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে নতুন প্রকল্প এবং কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ।
- বাজেট ঘাটতি: বাজেট ঘাটতি হল সরকারের আয় ব্যয়ের চেয়ে কম হলে। বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার ঋণ গ্রহণ করতে পারে।
বাজেট হল একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি যা সরকারের আর্থিক অবস্থা এবং লক্ষ্যগুলি প্রতিফলিত করে। এটি সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনগণের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
বাজেট কাকে বলে
বাজেট হল একটি দেশের বা সরকারের আয় এবং ব্যয়ের একটি পরিকল্পনা। এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, সাধারণত এক বছরের জন্য করা হয়। বাজেট সরকারের আর্থিক অবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং এটি সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনগণের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
বাজেটের দুটি প্রধান উদ্দেশ্য রয়েছে:
- আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা: বাজেট সরকারের আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে। এটি সরকারের ঋণের পরিমাণ কমাতে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
- সরকারের লক্ষ্যগুলি অর্জন করা: বাজেট সরকারের লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে। এটি জনগণের চাহিদা পূরণ এবং অর্থনীতির উন্নতি করতে সহায়তা করে।
বাজেট প্রণয়নের সময়, সরকার নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করে:
- আর্থিক অবস্থা: সরকারের আর্থিক অবস্থা, যার মধ্যে রয়েছে রাজস্ব আয়, ব্যয় এবং ঋণের পরিমাণ।
- জনগণের চাহিদা: জনগণের চাহিদা, যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অবকাঠামো।
- অর্থনৈতিক লক্ষ্য: সরকারের অর্থনৈতিক লক্ষ্য, যেমন জিডিপি বৃদ্ধি বা বেকারত্ব কমানো।
বাজেট প্রণয়ন একটি জটিল প্রক্রিয়া যা সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন। বাজেট সাধারণত অর্থ মন্ত্রণালয় দ্বারা প্রণয়ন করা হয় এবং জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হয়।
বাজেটের বিভিন্ন অংশ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- আয়: সরকারের আয় রাজস্ব আয় এবং অ-রাজস্ব আয়ের সমন্বয়ে গঠিত। রাজস্ব আয়ের মধ্যে রয়েছে কর, ফি এবং অন্যান্য সংগ্রহ। অ-রাজস্ব আয়ের মধ্যে রয়েছে সম্পদ বিক্রয়, ঋণ এবং অন্যান্য উৎস থেকে আয়।
- ব্যয়: সরকারের ব্যয়কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়: চলতি ব্যয় এবং উন্নয়ন ব্যয়। চলতি ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে বেতন, অবসর ভাতা, সুদ এবং অন্যান্য ব্যয়। উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে নতুন প্রকল্প এবং কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ।
- বাজেট ঘাটতি: বাজেট ঘাটতি হল সরকারের আয় ব্যয়ের চেয়ে কম হলে। বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার ঋণ গ্রহণ করতে পারে।
বাজেট হল একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি যা সরকারের আর্থিক অবস্থা এবং লক্ষ্যগুলি প্রতিফলিত করে। এটি সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনগণের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
বাজেটের সংজ্ঞা:
বাজেটকে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে নিম্নরূপ:
- বাজেট হল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, সাধারণত এক বছরের জন্য, একটি দেশের বা সরকারের আয় এবং ব্যয়ের একটি পরিকল্পনা।
- বাজেট হল সরকারের আর্থিক অবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং এটি সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনগণের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
- বাজেট প্রণয়নের সময়, সরকার নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করে:
- আর্থিক অবস্থা
- জনগণের চাহিদা
- অর্থনৈতিক লক্ষ্য
- বাজেট প্রণয়ন একটি জটিল প্রক্রিয়া যা সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন।
- বাজেট সরকারের আর্থিক অবস্থা এবং লক্ষ্যগুলি প্রতিফলিত করে। এটি সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনগণের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
বাজেটের প্রকারভেদ
বাজেটের প্রকারভেদ
বাজেটকে বিভিন্নভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। নিম্নলিখিতগুলি হল বাজেটের কয়েকটি সাধারণ শ্রেণিবদ্ধকরণ:
সময়কালের ভিত্তিতে:
- বার্ষিক বাজেট: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরণের বাজেট, যা সাধারণত এক বছরের জন্য প্রণয়ন করা হয়।
- বহুবর্ষীয় বাজেট: এটি একটি দীর্ঘ সময়ের জন্য, সাধারণত পাঁচ বছরের জন্য, প্রণয়ন করা হয়। বহুবর্ষীয় বাজেটগুলি সরকারের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য সহায়তা করে।
আয়ের উৎস অনুসারে:
- রাজস্ব বাজেট: এই বাজেটটি সরকারের রাজস্ব আয় এবং ব্যয়ের একটি পরিকল্পনা।
- অ-রাজস্ব বাজেট: এই বাজেটটি সরকারের অ-রাজস্ব আয় এবং ব্যয়ের একটি পরিকল্পনা। অ-রাজস্ব আয়ের মধ্যে রয়েছে সম্পদ বিক্রয়, ঋণ এবং অন্যান্য উৎস থেকে আয়।
ব্যয়ের প্রকৃতির ভিত্তিতে:
- চলতি বাজেট: এই বাজেটটি সরকারের চলতি ব্যয়ের একটি পরিকল্পনা, যেমন বেতন, অবসর ভাতা, সুদ এবং অন্যান্য ব্যয়।
- উন্নয়ন বাজেট: এই বাজেটটি সরকারের উন্নয়ন ব্যয়ের একটি পরিকল্পনা, যেমন নতুন প্রকল্প এবং কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ।
আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্যের ভিত্তিতে:
- সুষম বাজেট: এই বাজেটটিতে আয় এবং ব্যয় সমান।
- অসম বাজেট: এই বাজেটটিতে আয় এবং ব্যয় অসমান। অসম বাজেটে, আয় ব্যয়ের চেয়ে কম হলে ঘাটতি বাজেট হয় এবং আয় ব্যয়ের চেয়ে বেশি হলে উদ্বৃত্ত বাজেট হয়।
বাজেট প্রণয়ন পদ্ধতির ভিত্তিতে:
- উপরে থেকে নীচে বাজেট: এই বাজেট প্রণয়ন পদ্ধতিতে, সরকার প্রথমে সামগ্রিক আয় এবং ব্যয়ের পরিকল্পনা করে এবং তারপর নির্দিষ্ট খাত এবং কর্মসূচিগুলিকে বরাদ্দ দেয়।
- নীচ থেকে উপরে বাজেট: এই বাজেট প্রণয়ন পদ্ধতিতে, নির্দিষ্ট খাত এবং কর্মসূচিগুলি প্রথমে তাদের প্রয়োজনীয়তাগুলির উপর ভিত্তি করে বরাদ্দের জন্য অনুরোধ করে এবং তারপর সরকার সামগ্রিক আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে তাদের সমন্বয় করে।
বাজেটের প্রকারভেদ নির্বাচন সরকারের আর্থিক অবস্থা, জনগণের চাহিদা এবং অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলির উপর নির্ভর করে।
বাজেট কিভাবে প্রণয়ন করা হয়
বাজেট প্রণয়ন একটি জটিল প্রক্রিয়া যা সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন। বাজেট প্রণয়নের সাধারণ প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:
প্রথম ধাপ:
বাজেট প্রণয়নের প্রথম ধাপ হল সরকারের আর্থিক অবস্থা এবং লক্ষ্যগুলি মূল্যায়ন করা। এটি করার জন্য, সরকার নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করে:
- রাজস্ব আয়: সরকারের রাজস্ব আয়ের প্রবণতা এবং সম্ভাব্যতা।
- ব্যয়: সরকারের চলতি এবং উন্নয়ন ব্যয়ের প্রবণতা এবং প্রয়োজনীয়তা।
- অর্থনৈতিক লক্ষ্য: সরকারের জিডিপি বৃদ্ধি, বেকারত্ব কমানো এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলি।
দ্বিতীয় ধাপ:
আর্থিক অবস্থা এবং লক্ষ্যগুলি মূল্যায়নের পর, সরকার বাজেট বরাদ্দের জন্য অনুরোধ করে। এই অনুরোধগুলি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ থেকে আসে। অনুরোধগুলিতে সাধারণত প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় আয় এবং ব্যয়ের পরিমাণ থাকে।
তৃতীয় ধাপ:
বাজেট বরাদ্দের অনুরোধগুলি প্রাপ্তির পর, সরকার তাদের পর্যালোচনা এবং মূল্যায়ন করে। সরকার নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করে:
- প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রয়োজনীয়তা: সরকার প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করার জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ প্রদান করতে চায়।
- বাজেটের সামগ্রিক ভারসাম্য: সরকার বাজেটটিকে সুষম বা ঘাটতি বাজেট হিসাবে রাখতে চায় কিনা তা বিবেচনা করে।
- অর্থনৈতিক লক্ষ্য: সরকারের অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য বাজেটটি কীভাবে অবদান রাখবে তা বিবেচনা করে।
চতুর্থ ধাপ:
বাজেট বরাদ্দের অনুরোধগুলি পর্যালোচনা এবং মূল্যায়নের পর, সরকার চূড়ান্ত বাজেট প্রণয়ন করে। বাজেট প্রণয়নের সময়, সরকার নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করে:
- আর্থিক অবস্থা: সরকার বাজেটটিকে সরকারের আর্থিক অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে চায়।
- জনগণের চাহিদা: সরকার বাজেটটিকে জনগণের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ প্রদান করে রাখতে চায়।
পঞ্চম ধাপ:
চূড়ান্ত বাজেট প্রণয়নের পর, সরকার তা জাতীয় সংসদে পেশ করে। সংসদ বাজেটটি পর্যালোচনা এবং অনুমোদন করে।
বাজেট প্রণয়ন একটি জটিল প্রক্রিয়া যা সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন। বাজেট প্রণয়নের সময়, সরকার নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করে:
- আর্থিক অবস্থা: সরকার বাজেটটিকে সরকারের আর্থিক অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে চায়।
- জনগণের চাহিদা: সরকার বাজেটটিকে জনগণের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ প্রদান করে রাখতে চায়।
- অর্থনৈতিক লক্ষ্য: সরকারের অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য বাজেটটি কীভাবে অবদান রাখবে তা বিবেচনা করে।