সমাস শব্দের অর্থ কি

সমাস শব্দের অর্থ সংক্ষেপ, সমর্থন, সংগ্রহ, মিলন, একাধিক  পদের  একপদীকরণ।

অর্থসম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি নতুন  শব্দ গঠনের প্রক্রিয়া কে সমাস বলে। যেমন; দেশের সেরা= দেশসেবা, বই-পুস্তক= বই-পুস্তক,  নেই পরোঁয়া= বেপরোয়া।

বাক্য শব্দের ব্যবহার সংক্ষেপে করার উদ্দেশ্য সমাসের সৃষ্টি হয়। এটি শব্দ তৈরি ও প্রয়োগের একটি বিশেষ রীতি। সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে।

তবে খাঁটি বাংলা সমাসের দৃষ্টান্ত ও  প্রচুর পাওয়া যায়। সেগুলো সংস্কৃতের নিয়ম খাটে না।

  •  সমাসের প্রক্রিয়ায় সমাজবদ্ধ বা সমাসনিষ্পন্ন পদ্ধটির নাম সমস্ত পদ।
  •  সমস্ত পথ  বা সমাজবদ্ধ  পদটির অন্তর্গত  পদগুলোকে সমস্যমান পদ বলে। 
  •  সমাসযুক্ত  পদের প্রথম অংশ শব্দ কে বলা হয় পূর্বপদ এবং পরবর্তী অংশ শব্দ কে বলা হয় উত্তরপদ বা পরপদ।

 

সমস্ত পদকে ভেঙে যে বাক্যাংশ করা হয়, তার নাম সমাসবাক, ব্যাসবাক্যবা বিগ্রহবাক্য

সমস্ত পদকে ভেঙে যে বাক্যাংশ করা হয়, তার নাম ব্যাসবাক্য। ব্যাসবাক্য হলো সমাসের বিশ্লেষণ বা সমাসের ব্যাখ্যা। সমাসে যে দুইটি পদ থাকে, সে দুইটি পদকে ভেঙে যে বাক্যাংশ তৈরি করা হয়, তাকে ব্যাসবাক্য বলে।

উদাহরণ:

  • সমস্ত পদ:নীলপদ্ম

  • ব্যাসবাক্য:নীল যে পদ্ম

  • সমস্ত পদ:চালাকচতুর

  • ব্যাসবাক্য:চালাক যে চতুর

  • সমস্ত পদ:জজসাহেব

  • ব্যাসবাক্য:যে জজ তিনিই সাহেব

  • সমস্ত পদ:ধোয়ামোছা

  • ব্যাসবাক্য:প্রথমে ধোয়া পরে মোছা

ব্যাসবাক্য তৈরি করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে:

  • সমাসের প্রকারভেদ অনুসারে ব্যাসবাক্য তৈরি করতে হবে।
  • সমাসের পূর্বপদ ও পরপদকে যথাযথভাবে ভেঙে নিতে হবে।
  • সমাসের অর্থের পরিবর্তন করা যাবে না।

ব্যাসবাক্য তৈরি করা সমাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সমাসের প্রকৃতি ও গুণাবলী বোঝার জন্য ব্যাসবাক্য তৈরি করা প্রয়োজন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *