হার্নিয়া হলে কি কি সমস্যা হয়?

হার্নিয়া কি?

হার্নিয়া হল এমন একটি অবস্থা যেখানে পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ বা টিস্যু পেটের দেয়ালের একটি দুর্বল জায়গার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে। এই দুর্বল জায়গাকে বলা হয় ছিদ্র। হার্নিয়া সাধারণত পেটে বা কুঁচকির আশেপাশে দেখা যায়।

হার্নিয়া বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের হার্নিয়া। এটি কুঁচকির কাছে দেখা যায় এবং পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
  • ফিমোরাল হার্নিয়া: এটি কুঁচকির বাইরের দিকে দেখা যায় এবং মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
  • অ্যাম্বিলিক্যাল হার্নিয়া: এটি নাভির কাছে দেখা যায়।
  • ইনসিশনাল হার্নিয়া: এটি অস্ত্রোপচারের পরে দেখা যায়।

হার্নিয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • পেটে বা কুঁচকিতে একটি স্ফীতি বা গলদ
  • ব্যথা, ভারীতা বা অস্বস্তি
  • বমি বমি ভাব বা বমি

হার্নিয়া একটি গুরুতর অবস্থা নয়, তবে এটি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। হার্নিয়া জটিলতার মধ্যে রয়েছে:

  • স্ট্রাংগুলেশন: যখন হার্নিয়া ছিদ্রের মধ্যে আটকে যায়, তখন রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটি অন্ত্রের টিস্যুর মৃত্যুর দিকে পরিচালিত করতে পারে।
  • ইনফেকশন: হার্নিয়া ছিদ্রের মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে।

হার্নিয়ার চিকিৎসা হল অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হার্নিয়া ছিদ্র বন্ধ করা হয় এবং অন্ত্র বা অন্যান্য টিস্যুগুলিকে তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।

হার্নিয়া প্রতিরোধের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • অতিরিক্ত ওজন কমানো
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা

হার্নিয়ার লক্ষণগুলি দেখা দিলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

হার্নিয়া রোগ কি?

হার্নিয়া হল এমন একটি অবস্থা যেখানে পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ বা টিস্যু পেটের দেয়ালের একটি দুর্বল জায়গার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে। এই দুর্বল জায়গাকে বলা হয় ছিদ্র। হার্নিয়া সাধারণত পেটে বা কুঁচকির আশেপাশে দেখা যায়।

হার্নিয়া বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের হার্নিয়া। এটি কুঁচকির কাছে দেখা যায় এবং পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
  • ফিমোরাল হার্নিয়া: এটি কুঁচকির বাইরের দিকে দেখা যায় এবং মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
  • অ্যাম্বিলিক্যাল হার্নিয়া: এটি নাভির কাছে দেখা যায়।
  • ইনসিশনাল হার্নিয়া: এটি অস্ত্রোপচারের পরে দেখা যায়।

হার্নিয়া রোগের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • পেটের চাপ বৃদ্ধি: কাশি, হাঁচি, ভারী বস্তু তোলা, বা গর্ভধারণের সময় পেটের চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • পেটের দেয়ালের দুর্বলতা: কিছু লোকের জন্মগতভাবে পেটের দেয়ালের দুর্বলতা থাকে।
  • অস্ত্রোপচারের পরে: অস্ত্রোপচারের পরে পেটের দেয়ালে ছিদ্র হতে পারে।

হার্নিয়া রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • পেটে বা কুঁচকিতে একটি স্ফীতি বা গলদ
  • ব্যথা, ভারীতা বা অস্বস্তি
  • বমি বমি ভাব বা বমি

হার্নিয়া রোগ একটি গুরুতর অবস্থা নয়, তবে এটি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। হার্নিয়া জটিলতার মধ্যে রয়েছে:

  • স্ট্রাংগুলেশন: যখন হার্নিয়া ছিদ্রের মধ্যে আটকে যায়, তখন রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটি অন্ত্রের টিস্যুর মৃত্যুর দিকে পরিচালিত করতে পারে।
  • ইনফেকশন: হার্নিয়া ছিদ্রের মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে।

হার্নিয়া রোগের চিকিৎসা হল অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হার্নিয়া ছিদ্র বন্ধ করা হয় এবং অন্ত্র বা অন্যান্য টিস্যুগুলিকে তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।

হার্নিয়া রোগ প্রতিরোধের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • অতিরিক্ত ওজন কমানো
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা

হার্নিয়া রোগের লক্ষণগুলি দেখা দিলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

হার্নিয়া রোগের কিছু সাধারণ প্রশ্ন এবং উত্তর নিম্নরূপ:

প্রশ্ন: হার্নিয়া রোগ কিভাবে নির্ণয় করা হয়?

উত্তর: হার্নিয়া রোগ সাধারণত শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়। ডাক্তার পেটে বা কুঁচকিতে একটি স্ফীতি বা গলদ অনুভব করতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে, ডাক্তার আল্ট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যানের মতো ইমেজিং পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।

প্রশ্ন: হার্নিয়া রোগের চিকিৎসা কি?

উত্তর: হার্নিয়া রোগের একমাত্র চিকিৎসা হল অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হার্নিয়া ছিদ্র বন্ধ করা হয় এবং অন্ত্র বা অন্যান্য টিস্যুগুলিকে তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।

প্রশ্ন: হার্নিয়া রোগের জটিলতা কি?

উত্তর: হার্নিয়া রোগের কিছু সাধারণ জটিলতা হল:

  • স্ট্রাংগুলেশন: যখন হার্নিয়া ছিদ্রের মধ্যে আটকে যায়, তখন রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটি অন্ত্রের টিস্যুর মৃত্যুর দিকে পরিচালিত করতে পারে।
  • ইনফেকশন: হার্নিয়া ছিদ্রের মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে।

প্রশ্ন: হার্নিয়া রোগ প্রতিরোধ করা যায় কি?

উত্তর: হার্নিয়া রোগের কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কারণগুলিকে এড়িয়ে চললে হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি

হার্নিয়া কত প্রকার?

হার্নিয়া বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
  • ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের হার্নিয়া। এটি কুঁচকির কাছে দেখা যায় এবং পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
  • ফিমোরাল হার্নিয়া: এটি কুঁচকির বাইরের দিকে দেখা যায় এবং মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
  • অ্যাম্বিলিক্যাল হার্নিয়া: এটি নাভির কাছে দেখা যায়।
  • ইনসিশনাল হার্নিয়া: এটি অস্ত্রোপচারের পরে দেখা যায়।

ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া

ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া হল সবচেয়ে সাধারণ ধরনের হার্নিয়া। এটি কুঁচকির কাছে দেখা যায়, যেখানে পেটের দেয়ালের একটি দুর্বল জায়গা দিয়ে অন্ত্র বা অন্যান্য টিস্যু বেরিয়ে আসে। ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া সাধারণত পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, কারণ পুরুষদের মধ্যে কুঁচকিতে একটি প্রাকৃতিক দুর্বলতা থাকে।

ফিমোরাল হার্নিয়া

ফিমোরাল হার্নিয়া হল একটি ধরনের ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া যা কুঁচকির বাইরের দিকে দেখা যায়। ফিমোরাল হার্নিয়া মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, কারণ মহিলাদের মধ্যে কুঁচকির বাইরের দিকে একটি দুর্বলতা থাকে।

অ্যাম্বিলিক্যাল হার্নিয়া

অ্যাম্বিলিক্যাল হার্নিয়া হল একটি ধরনের হার্নিয়া যা নাভির কাছে দেখা যায়। অ্যাম্বিলিক্যাল হার্নিয়া সাধারণত শিশুদের মধ্যে দেখা যায়, তবে এটি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও দেখা যেতে পারে।

ইনসিশনাল হার্নিয়া

ইনসিশনাল হার্নিয়া হল একটি ধরনের হার্নিয়া যা অস্ত্রোপচারের পরে দেখা যায়। অস্ত্রোপচারের সময়, পেটের দেয়ালে একটি দুর্বলতা তৈরি হতে পারে। এই দুর্বলতার মধ্য দিয়ে অন্ত্র বা অন্যান্য টিস্যু বেরিয়ে আসতে পারে।

হার্নিয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • পেটে বা কুঁচকিতে একটি স্ফীতি বা গলদ
  • ব্যথা, ভারীতা বা অস্বস্তি
  • বমি বমি ভাব বা বমি

হার্নিয়া একটি গুরুতর অবস্থা নয়, তবে এটি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। হার্নিয়া জটিলতার মধ্যে রয়েছে:

  • স্ট্রাংগুলেশন: যখন হার্নিয়া ছিদ্রের মধ্যে আটকে যায়, তখন রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটি অন্ত্রের টিস্যুর মৃত্যুর দিকে পরিচালিত করতে পারে।
  • ইনফেকশন: হার্নিয়া ছিদ্রের মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে।

হার্নিয়ার চিকিৎসা হল অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হার্নিয়া ছিদ্র বন্ধ করা হয় এবং অন্ত্র বা অন্যান্য টিস্যুগুলিকে তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।

কারণসমূহ

হার্নিয়া রোগের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • পেটের চাপ বৃদ্ধি: কাশি, হাঁচি, ভারী বস্তু তোলা, বা গর্ভধারণের সময় পেটের চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • পেটের দেয়ালের দুর্বলতা: কিছু লোকের জন্মগতভাবে পেটের দেয়ালের দুর্বলতা থাকে।
  • অস্ত্রোপচারের পরে: অস্ত্রোপচারের পরে পেটের দেয়ালে ছিদ্র হতে পারে।

পেটের চাপ বৃদ্ধি

পেটের চাপ বৃদ্ধি পেলে পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ বা টিস্যুগুলি পেটের দেয়ালের দুর্বল জায়গাগুলির মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে। পেটের চাপ বৃদ্ধির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • কাশি: দীর্ঘস্থায়ী কাশি, যেমন ব্রঙ্কিওলাইটিস বা এমফিসেমা কারণের হতে পারে।
  • হাঁচি: দীর্ঘস্থায়ী হাঁচি, যেমন অ্যালার্জি বা সর্দি-কাশির কারণের হতে পারে।
  • ভারী বস্তু তোলা: ভারী বস্তু তোলার সময় পেটের চাপ বৃদ্ধি পায়।
  • গর্ভধারণ: গর্ভধারণের সময়, পেটের ভিতরে একটি শিশু থাকে যা পেটের চাপ বৃদ্ধি করে।

পেটের দেয়ালের দুর্বলতা

কিছু লোকের জন্মগতভাবে পেটের দেয়ালের দুর্বলতা থাকে। এই দুর্বলতা হার্নিয়া তৈরির ঝুঁকি বাড়ায়।

অস্ত্রোপচারের পরে

অস্ত্রোপচারের পরে পেটের দেয়ালে একটি দুর্বলতা তৈরি হতে পারে। এই দুর্বলতার মধ্য দিয়ে অন্ত্র বা অন্যান্য টিস্যু বেরিয়ে আসতে পারে।

হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি বাড়ায় এমন অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • পুরুষ লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি মহিলাদের তুলনায় বেশি।
  • বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  • স্থূলতা: স্থূল ব্যক্তিদের হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি বেশি।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য: কোষ্ঠকাঠিন্য পেটের চাপ বৃদ্ধি করে এবং হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • ধূমপান: ধূমপান দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে, যা হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • অতিরিক্ত পরিশ্রম: অতিরিক্ত পরিশ্রম পেটের চাপ বৃদ্ধি করে এবং হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

লক্ষণ

হার্নিয়া রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • একটি ফোলা বা পিণ্ড যা আপনি পেটে বা কুঁচকিতে দেখতে বা অনুভব করতে পারেন।
  • ব্যথা ব্যথা বা এলাকায় চাপের অনুভূতি।
  • হাঁচি, কাশি, বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো ক্রিয়াকলাপের পরে ফোলা বা পিণ্ডের বৃদ্ধি।
  • ফোলা বা পিণ্ডের মধ্যে অনুভূত টিস্যু বা অঙ্গ।
  • বমি বমি ভাব বা বমি।
  • পায়খানা বা গ্যাসের অসুবিধা।

হার্নিয়া রোগের লক্ষণগুলি কেবলমাত্র তখনই দেখা দিতে পারে যখন হার্নিয়া বড় হয়। ছোট হার্নিয়াগুলি কোনও লক্ষণ সৃষ্টি নাও করতে পারে।

হার্নিয়া রোগের সবচেয়ে গুরুতর জটিলতা হল স্ট্রাংগুলেশন। স্ট্রাংগুলেশন ঘটে যখন হার্নিয়ায় আটকে যাওয়া অঙ্গ বা টিস্যুতে রক্ত ​​প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।

স্ট্রাংগুলেশন একটি জরুরি অবস্থা এবং এটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অবিলম্বে চিকিত্সা করা প্রয়োজন।

হার্নিয়া রোগের সন্দেহ হলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার একটি শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং হার্নিয়া রোগের লক্ষণগুলির জন্য জিজ্ঞাসা করবেন।

হার্নিয়া রোগ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তার একটি ইমেজিং পরীক্ষা, যেমন একটি আল্ট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যানও অর্ডার করতে পারেন।

হার্নিয়া রোগের চিকিৎসা সাধারণত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে করা হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হার্নিয়াটিকে তার সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনা হয় এবং দুর্বলতাটি বন্ধ করা হয়।

ঝুঁকির কারণ

হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি বাড়ায় এমন কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
  • পেটের চাপ বৃদ্ধি: কাশি, হাঁচি, ভারী বস্তু তোলা, বা গর্ভধারণের সময় পেটের চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • পেটের দেয়ালের দুর্বলতা: কিছু লোকের জন্মগতভাবে পেটের দেয়ালের দুর্বলতা থাকে।
  • অস্ত্রোপচারের পরে: অস্ত্রোপচারের পরে পেটের দেয়ালে ছিদ্র হতে পারে।

পেটের চাপ বৃদ্ধি

পেটের চাপ বৃদ্ধি পেলে পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ বা টিস্যুগুলি পেটের দেয়ালের দুর্বল জায়গাগুলির মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে। পেটের চাপ বৃদ্ধির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • কাশি: দীর্ঘস্থায়ী কাশি, যেমন ব্রঙ্কিওলাইটিস বা এমফিসেমা কারণের হতে পারে।
  • হাঁচি: দীর্ঘস্থায়ী হাঁচি, যেমন অ্যালার্জি বা সর্দি-কাশির কারণের হতে পারে।
  • ভারী বস্তু তোলা: ভারী বস্তু তোলার সময় পেটের চাপ বৃদ্ধি পায়।
  • গর্ভধারণ: গর্ভধারণের সময়, পেটের ভিতরে একটি শিশু থাকে যা পেটের চাপ বৃদ্ধি করে।

পেটের দেয়ালের দুর্বলতা

কিছু লোকের জন্মগতভাবে পেটের দেয়ালের দুর্বলতা থাকে। এই দুর্বলতা হার্নিয়া তৈরির ঝুঁকি বাড়ায়।

অস্ত্রোপচারের পরে

অস্ত্রোপচারের পরে পেটের দেয়ালে একটি দুর্বলতা তৈরি হতে পারে। এই দুর্বলতার মধ্য দিয়ে অন্ত্র বা অন্যান্য টিস্যু বেরিয়ে আসতে পারে।

হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি বাড়ায় এমন অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • পুরুষ লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি মহিলাদের তুলনায় বেশি।
  • বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  • স্থূলতা: স্থূল ব্যক্তিদের হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি বেশি।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য: কোষ্ঠকাঠিন্য পেটের চাপ বৃদ্ধি করে এবং হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • ধূমপান: ধূমপান দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে, যা হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • অতিরিক্ত পরিশ্রম: অতিরিক্ত পরিশ্রম পেটের চাপ বৃদ্ধি করে এবং হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা
  • ধূমপান ত্যাগ করা
  • ভারী বস্তু তোলার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা

হার্নিয়া রোগের লক্ষণগুলি দেখা দিলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার একটি শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং হার্নিয়া রোগের লক্ষণগুলির জন্য জিজ্ঞাসা করবেন। হার্নিয়া রোগ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তার একটি ইমেজিং পরীক্ষা, যেমন একটি আল্ট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যানও অর্ডার করতে পারেন।

হার্নিয়া রোগের চিকিৎসা সাধারণত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে করা হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হার্নিয়াটিকে তার সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনা হয় এবং দুর্বলতাটি বন্ধ করা হয়।

রোগ নির্ণয়

হার্নিয়া রোগের নির্ণয় সাধারণত শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে করা হয়। ডাক্তার পেটে বা কুঁচকিতে একটি ফোলা বা পিণ্ড অনুভব করতে পারেন। হার্নিয়া রোগ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তার একটি ইমেজিং পরীক্ষা, যেমন একটি আল্ট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যানও অর্ডার করতে পারেন।

শারীরিক পরীক্ষা

শারীরিক পরীক্ষার সময়, ডাক্তার পেটে বা কুঁচকিতে একটি ফোলা বা পিণ্ড অনুভব করতে পারেন। হার্নিয়া রোগের ফোলা বা পিণ্ড সাধারণত হাঁচি, কাশি, বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো ক্রিয়াকলাপের পরে বৃদ্ধি পায়।

ইমেজিং পরীক্ষা

হার্নিয়া রোগ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তার একটি ইমেজিং পরীক্ষা, যেমন একটি আল্ট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যানও অর্ডার করতে পারেন

। আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায়, ডাক্তার পেটের অভ্যন্তরীণ অংশগুলির একটি চিত্র তৈরি করতে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করেন। সিটি স্ক্যান পরীক্ষায়, ডাক্তার পেটের অভ্যন্তরীণ অংশগুলির একটি বিস্তারিত চিত্র তৈরি করতে রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করেন।

জটিলতা

হার্নিয়া রোগের সবচেয়ে গুরুতর জটিলতা হল স্ট্রাংগুলেশন। স্ট্রাংগুলেশন ঘটে যখন হার্নিয়ায় আটকে যাওয়া অঙ্গ বা টিস্যুতে রক্ত ​​প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। স্ট্রাংগুলেশন একটি জরুরি অবস্থা এবং এটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অবিলম্বে চিকিত্সা করা প্রয়োজন।

হার্নিয়া রোগের অন্যান্য জটিলতাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ইনফেকশন: হার্নিয়া ছিদ্রের মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে।
  • অপারেশনের পরে জটিলতা: অস্ত্রোপচারের পরে ব্যথা, সংক্রমণ, বা জমাট বাঁধা হতে পারে।

চিকিত্সা

হার্নিয়া রোগের চিকিৎসা সাধারণত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে করা হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হার্নিয়াটিকে তার সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনা হয় এবং দুর্বলতাটি বন্ধ করা হয়।

অস্ত্রোপচারের ধরন

হার্নিয়া রোগের চিকিৎসার জন্য দুটি প্রধান ধরণের অস্ত্রোপচার রয়েছে:

  • উন্মুক্ত অস্ত্রোপচার: এই অস্ত্রোপচারে, ডাক্তার পেটে একটি ছোট কাটা তৈরি করেন।
  • ল্যাপারোস্কোপিক অস্ত্রোপচার: এই অস্ত্রোপচারে, ডাক্তার পেটে ছোট ছোট কাটা তৈরি করেন এবং একটি ল্যাপারোস্কোপ নামক একটি যন্ত্র ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ অংশগুলি পর্যবেক্ষণ করেন।

অস্ত্রোপচারের পরে

অস্ত্রোপচারের পরে, রোগীকে সাধারণত কয়েক দিন হাসপাতালে থাকতে হয়। অস্ত্রোপচারের পরে ব্যথা উপশম করার জন্য ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। রোগীকে অস্ত্রোপচারের পরে কয়েক সপ্তাহের জন্য ভারী বস্তু তোলা এড়ানো উচিত।

চিকিৎসা

হার্নিয়া রোগের চিকিৎসা সাধারণত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে করা হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হার্নিয়াটিকে তার সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনা হয় এবং দুর্বলতাটি বন্ধ করা হয়।

অস্ত্রোপচারের ধরন

হার্নিয়া রোগের চিকিৎসার জন্য দুটি প্রধান ধরণের অস্ত্রোপচার রয়েছে:

  • উন্মুক্ত অস্ত্রোপচার: এই অস্ত্রোপচারে, ডাক্তার পেটে একটি ছোট কাটা তৈরি করেন।
  • ল্যাপারোস্কোপিক অস্ত্রোপচার: এই অস্ত্রোপচারে, ডাক্তার পেটে ছোট ছোট কাটা তৈরি করেন এবং একটি ল্যাপারোস্কোপ নামক একটি যন্ত্র ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ অংশগুলি পর্যবেক্ষণ করেন।

উন্মুক্ত অস্ত্রোপচার

উন্মুক্ত অস্ত্রোপচারে, ডাক্তার পেটে একটি ছোট কাটা তৈরি করেন। এই কাটার মাধ্যমে, ডাক্তার হার্নিয়াটিকে তার সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনেন এবং দুর্বলতাটি বন্ধ করার জন্য একটি মেশ ব্যবহার করেন।

ল্যাপারোস্কোপিক অস্ত্রোপচার

ল্যাপারোস্কোপিক অস্ত্রোপচারে, ডাক্তার পেটে ছোট ছোট কাটা তৈরি করেন। এই কাটার মাধ্যমে, ডাক্তার একটি ল্যাপারোস্কোপ নামক একটি যন্ত্র ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ অংশগুলি পর্যবেক্ষণ করেন। ল্যাপারোস্কোপের সাথে একটি ছোট ক্যামেরা থাকে যা একটি মনিটরে চিত্রগুলি প্রেরণ করে। ডাক্তার এই চিত্রগুলি ব্যবহার করে হার্নিয়াটিকে তার সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনেন এবং দুর্বলতাটি বন্ধ করার জন্য একটি মেশ ব্যবহার করেন।

অস্ত্রোপচারের পরে

অস্ত্রোপচারের পরে, রোগীকে সাধারণত কয়েক দিন হাসপাতালে থাকতে হয়। অস্ত্রোপচারের পরে ব্যথা উপশম করার জন্য ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। রোগীকে অস্ত্রোপচারের পরে কয়েক সপ্তাহের জন্য ভারী বস্তু তোলা এড়ানো উচিত।

অস্ত্রোপচারের বিকল্প

যদি হার্নিয়া ছোট হয় এবং কোনও জটিলতা না থাকে, তাহলে ডাক্তার অস্ত্রোপচার ছাড়াই চিকিৎসা করার চেষ্টা করতে পারেন। এই চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

  • বেল্ট বা স্ট্রেপ পরা: এই বেল্ট বা স্ট্রেপগুলি পেটের চাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • ওজন কমানো: অতিরিক্ত ওজন পেটের চাপ বাড়ায়, তাই ওজন কমানো হার্নিয়া নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা: কোষ্ঠকাঠিন্য পেটের চাপ বাড়ায়, তাই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা হার্নিয়া নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে।

হার্নিয়া রোগের জটিলতা

হার্নিয়া রোগের সবচেয়ে গুরুতর জটিলতা হল স্ট্রাংগুলেশন। স্ট্রাংগুলেশন ঘটে যখন হার্নিয়ায় আটকে যাওয়া অঙ্গ বা টিস্যুতে রক্ত ​​প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। স্ট্রাংগুলেশন একটি জরুরি অবস্থা এবং এটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অবিলম্বে চিকিত্সা করা প্রয়োজন।

হার্নিয়া রোগের অন্যান্য জটিলতাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ইনফেকশন: হার্নিয়া ছিদ্রের মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে।
  • অপারেশনের পরে জটিলতা: অস্ত্রোপচারের পরে ব্যথা, সংক্রমণ, বা জমাট বাঁধা হতে পারে।

হার্নিয়া রোগের প্রতিরোধ

হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা: অতিরিক্ত ওজন পেটের চাপ বাড়ায়, তাই ওজন কমানো হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম পেটের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে, যা হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা:

অবশ্য করণীয়

হার্নিয়া রোগের জন্য অবশ্য করণীয়গুলি হল:

  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা: অতিরিক্ত ওজন পেটের চাপ বাড়ায়, তাই ওজন কমানো হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম পেটের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে, যা হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা: কোষ্ঠকাঠিন্য পেটের চাপ বাড়ায়, তাই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ভারী বস্তু তোলার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা: ভারী বস্তু তোলার সময় পেটের চাপ বৃদ্ধি পায়, তাই ভারী বস্তু তোলার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

হার্নিয়া রোগের লক্ষণগুলি দেখা দিলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার একটি শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং হার্নিয়া রোগের লক্ষণগুলির জন্য জিজ্ঞাসা করবেন। হার্নিয়া রোগ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তার একটি ইমেজিং পরীক্ষা, যেমন একটি আল্ট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যানও অর্ডার করতে পারেন।

হার্নিয়া রোগের চিকিৎসা সাধারণত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে করা হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হার্নিয়াটিকে তার সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনা হয় এবং দুর্বলতাটি বন্ধ করা হয়।

হার্নিয়া রোগের জটিলতাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • স্ট্রাংগুলেশন: স্ট্রাংগুলেশন ঘটে যখন হার্নিয়ায় আটকে যাওয়া অঙ্গ বা টিস্যুতে রক্ত ​​প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। স্ট্রাংগুলেশন একটি জরুরি অবস্থা এবং এটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অবিলম্বে চিকিত্সা করা প্রয়োজন।
  • ইনফেকশন: হার্নিয়া ছিদ্রের মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে।
  • অপারেশনের পরে জটিলতা: অস্ত্রোপচারের পরে ব্যথা, সংক্রমণ, বা জমাট বাঁধা হতে পারে।

হার্নিয়া রোগের প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:

  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা: অতিরিক্ত ওজন পেটের চাপ বাড়ায়, তাই ওজন কমানো হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম পেটের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে, যা হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা: কোষ্ঠকাঠিন্য পেটের চাপ বাড়ায়, তাই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

হার্নিয়া রোগের লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং উপসর্গ দেখা দিলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিরোধ

হার্নিয়া রোগের প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:

  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা: অতিরিক্ত ওজন পেটের চাপ বাড়ায়, তাই ওজন কমানো হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম পেটের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে, যা হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা: কোষ্ঠকাঠিন্য পেটের চাপ বাড়ায়, তাই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ভারী বস্তু তোলার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা: ভারী বস্তু তোলার সময় পেটের চাপ বৃদ্ধি পায়, তাই ভারী বস্তু তোলার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা

অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা পেটের চাপ বাড়ায়, যা হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা হার্নিয়া রোগের প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

নিয়মিত ব্যায়াম করা

নিয়মিত ব্যায়াম পেটের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে, যা পেটের দেয়ালের দুর্বলতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করা হার্নিয়া রোগের প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা

কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার ফলে মলত্যাগের জন্য বেশি চাপ পড়ে, যা পেটের চাপ বাড়ায়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা হার্নিয়া রোগের প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

ভারী বস্তু তোলার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা

ভারী বস্তু তোলার সময় পেটের চাপ বৃদ্ধি পায়, তাই ভারী বস্তু তোলার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা হার্নিয়া রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ভারী বস্তু তোলার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখবেন:

  • হাঁটু ভাঁজ করে বসুন এবং বস্তুটিকে কোমর থেকে দূরে রাখুন।
  • বস্তুটিকে আপনার বুকের কাছে তুলুন, না কোমর বা পিঠের কাছে।
  • বস্তুটিকে উঁচু করার জন্য আপনার কোমর বা পিঠের পেশী ব্যবহার করবেন না।
  • বস্তুটিকে উঁচু করার পরে, ধীরে ধীরে আপনার হাঁটু সোজা করুন।

অন্যান্য পদক্ষেপ

হার্নিয়া রোগের প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলিও লক্ষ্য রাখতে পারেন:

  • ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
  • ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং আঁশযুক্ত খাবার খান।

হার্নিয়া রোগের লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং উপসর্গ দেখা দিলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *