সহবাস করার উপযোগী বয়স নির্ধারণ করা একটি জটিল বিষয়। এটি নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যেমন:
- শারীরিক পরিপক্বতা: সহবাস করার জন্য শারীরিকভাবে প্রস্তুত হওয়া জরুরি। এর মধ্যে রয়েছে যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা, মাসিকচক্রের সূত্রপাত, গর্ভধারণের সম্ভাবনা ইত্যাদি।
- মানসিক পরিপক্বতা: সহবাস করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়াও জরুরি। এর মধ্যে রয়েছে যৌনতার প্রতি আগ্রহ, দায়িত্বশীলতা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ইত্যাদি।
- সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট: বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে সহবাস করার উপযোগী বয়স ভিন্ন হতে পারে।
সাধারণভাবে, মানবদেহ ১৮ বছর বয়সের মধ্যে শারীরিকভাবে যৌনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে। তবে মানসিক পরিপক্বতা অর্জনের জন্য আরও সময় লাগতে পারে। তাই অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে, সহবাস করার জন্য ১৮ বছর বয়সই উপযুক্ত।
বাংলাদেশে, যৌন নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষার অভাব রয়েছে। ফলে অনেক তরুণ-তরুণী অল্প বয়সেই যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। এতে তারা বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
সহবাস করার উপযোগী বয়স সম্পর্কে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখা জরুরি:
- সহবাস করার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়া জরুরি।
- যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতা অবলম্বন করা জরুরি।
- যৌন নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি।
যদি আপনি সহবাস করার কথা ভাবছেন, তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে আপনার অভিভাবক বা একজন বিশ্বস্ত প্রাপ্তবয়স্কের সাথে কথা বলুন।
সন্তান ধারণের জন্য প্রতিদিন সহবাস করতে হবে
সন্তান ধারণের জন্য প্রতিদিন সহবাস করতে হবে না। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন সহবাস করলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা ৩৭% থাকে। যে দম্পতিরা প্রতিদিন ছাড়া সহবাস করে তাদের সন্তান ধারণের সম্ভাবনা ৩৩% থাকে। তবে, সপ্তাহে একদিন সহবাস করলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা ১৫% নেমে আসে।
সন্তান ধারণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো মাসিকচক্রের ১২ থেকে ১৬তম দিনের মধ্যে। এই সময়ে ডিম্বাণুটি ডিম্বাশয় থেকে নির্গত হয় এবং জরায়ুতে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত থাকে। তাই এই সময়ে সহবাস করলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সন্তান ধারণের জন্য সহবাসের পাশাপাশি কিছু বিষয়ের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। যেমন:
- মহিলাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
- মহিলাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
- মহিলাকে মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকতে হবে।
যদি কোনো দম্পতি ছয় মাসের মধ্যে সন্তান ধারণ করতে না পারে, তাহলে তাদের অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
যোনিপথ দিয়ে বীর্য বের হয়ে আসলে গর্ভবতী হওয়া যাবে না
যোনিপথ দিয়ে বীর্য বের হয়ে আসলে গর্ভবতী হওয়া যাবে না, এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। বীর্যপাতের পর শুক্রাণু নারীদেহে পাঁচ-ছয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তাই যদি বীর্য যোনিপথ দিয়ে বের হয়ে আসে, তাহলেও শুক্রাণু ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে সন্তান ধারণ করতে পারে।
যোনিপথ দিয়ে বীর্য বের হয়ে আসার কারণগুলি হলো:
- সহবাসের সময় পুরুষের যৌনাঙ্গ যোনিপথ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।
- সহবাসের পর পুরুষ যোনিপথ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।
- সহবাসের পর নারী প্রস্রাব করতে গেলে বা হাঁচতে গেলে বীর্য বেরিয়ে আসতে পারে।
যোনিপথ দিয়ে বীর্য বের হয়ে আসার সম্ভাবনা কমাতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হবে:
- সহবাসের সময় পুরুষের যৌনাঙ্গ যোনিপথের মধ্যে গভীরভাবে প্রবেশ করতে হবে।
- সহবাসের পর পুরুষ যোনিপথের মধ্যেই থাকতে হবে।
- সহবাসের পর নারী প্রস্রাব করার আগে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকতে হবে।
যদি আপনি গর্ভধারণ রোধ করতে চান, তাহলে অবশ্যই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করুন। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলি গর্ভধারণ রোধে অত্যন্ত কার্যকর।
নির্দিষ্ট কিছু অবস্থানে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে
নির্দিষ্ট কিছু অবস্থানে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে, এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কোন নির্দিষ্ট অবস্থানে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে, এমন কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
সহবাসের সময় শুক্রাণু যোনিপথের মাধ্যমে জরায়ুতে প্রবেশ করে ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়। কোন নির্দিষ্ট অবস্থানে সহবাস করলে শুক্রাণুর যোনিপথের মাধ্যমে জরায়ুতে প্রবেশের সম্ভাবনা বাড়ে, এমন কোন যুক্তি নেই।
সন্তান ধারণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডিম্বাণু নিঃসরণের সময় সহবাস করা। ডিম্বাণু নিঃসরণের সময় সহবাস করলে শুক্রাণু ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
ডিম্বাণু নিঃসরণের সময় নির্ধারণ করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন:
- পিরিয়ড চক্রের হিসাব
- ওভুলেশন কিট
- ডাক্তারের পরামর্শ
ডিম্বাণু নিঃসরণের সময় সহবাস করলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়ানো যায়।