আপনারা কি জানতে চান ছোটবেলায় আমাদের যে কবিতা গুলো আমরা বোধহয় সে গুলো ভুলে গেছি ।
আমরা এ আর্টিকেলে আলোচনা করবো আজ আমাদের এ অবস্থা। নৈতিকতাবোধ, ভদ্রতাবোধ, দেশপ্রেম নাই ।
এ নিয়ে ও আরো আলোচনা করবো চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে কবিতাটি আবার মুখস্ত করি এবং মনে মনে নিজেকে একজন আদর্শ ছেলে হিসেবে গড়ে তুলি
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে? মুখে হাসি, বুকে বল তেজে ভরা মন “মানুষ হইতে হবে” – এই তার পণ।
বিপদ আসিলে কাছে হও আগুয়ান, নাই কি শরীরে তব রক্ত মাংস প্রাণ? হাত, পা সবারই আছে মিছে কেন ভয়, চেতনা রয়েছে যার সে কি পড়ে রয়?
সে ছেলে কে চায় বল কথায়-কথায়, আসে যার চোখে জল মাথা ঘুরে যায়? সাদা প্রাণে হাসি মুখে কর এই পণ “মানুষ হইতে হবে মানুষ যখন”।
কৃষকের শিশু কিংবা রাজার কুমার সবারি রয়েছে কাজ এ বিশ্ব মাঝার, হাতে প্রাণে খাট সবে শক্তি কর দান তোমরা মানুষ হলে দেশের কল্যাণ।
কবি: কুসুমকুমারী দাশ
এই কবিতাটি কুসুমকুমারী দাশ রচিত। এটি একটি আদর্শবাদী কবিতা। কবিতায় কবি একজন আদর্শ ছেলের গুণাবলী বর্ণনা করেছেন। সেই ছেলেটি হবে শক্তিশালী, সাহসী, এবং দেশপ্রেমিক। সে হবে একজন সত্যিকারের মানুষ।
কবিতাটিতে কবি বলেছেন যে, আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে যে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। সেই ছেলেটি হবে একজন সত্যিকারের মানুষ। সে হবে একজন সৎ, ন্যায়পরায়ণ, এবং ধার্মিক মানুষ। সে হবে একজন দেশপ্রেমিক মানুষ। সে দেশের কল্যাণে কাজ করবে।
কবিতাটি আমাদেরকে একজন আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে।
আদর্শ ছেলে কবিতাটি কে লিখেছেন?
উওরঃ কুসুমকুমারী দাশ
কুসুমকুমারী দাশ
আদর্শ ছেলে
আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?
মুখে হাসি বুকে বল, তেজে ভরা মন
‘মানুষ হইতে হবে’- এই তার পণ।
বিপদ আসিলে কাছে হও আগুয়ান
নাই কি শরীরে তব রক্ত, মাংস, প্রাণ?
হাত পা সবারই আছে, মিছে কেন ভয়?
চেতনা রয়েছে যার, সে কি পড়ে রয়?
সে ছেলে কে চাই বল, কথায় কথায়
আসে যার চোখে জল, মাথা ঘুরে যায়?
মনে প্রাণে খাট সবে, শক্তি কর দান,
তোমরা ‘মানুষ’ হলে দেশের কল্যাণ।
কুসুমকুমারী দাশ (১৮৮২-১৯৪৮)
জন্ম ও পারিবারিক পরিচয়
কুসুমকুমারী দাশ ১৮৭৫ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর কলকাতার ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা প্রিয়নাথ ঠাকুর ছিলেন একজন ব্রাহ্মণ ধর্মগুরু এবং তার মাতা দেবীপ্রসন্না দেবী ছিলেন একজন গৃহবধূ। কুসুমকুমারী দাশের পৈতৃক নিবাস ছিল বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ মহকুমার ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্রামে।
শিক্ষাজীবন
কুসুমকুমারী দাশের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় তার বাড়িতে। তার পিতার কাছে তিনি বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত, হিন্দি, আরবি, ফারসি প্রভৃতি ভাষার শিক্ষা লাভ করেন। তিনি কলকাতার ব্রাহ্ম মহিলা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানে তিনি বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি লাভ করেন।
সাহিত্যকর্ম
ছোটবেলা থেকেই কুসুমকুমারী দাশ কবিতা ও প্রবন্ধ লিখতেন। রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, শিশুদের জন্য যে চিত্রশোভিত বর্ণশিক্ষার বই লিখেছিলেন, তার প্রথম ভাগে কুসুমকুমারী রচিত যুক্তাক্ষরবিহীন ছোট ছোট পদ্যাংশ ছিল। তিনি সম্পাদক মনোমোহন চক্রবর্তীর অনুরোধে লিখেছেন “ব্রহ্মবাদী” পত্রিকায়। তার অল্প কিছু কবিতা প্রকাশিত হয়েছে “প্রবাসী” ও “মুকুল” পত্রিকায়।
তিনি নিয়মিত পত্রিকা রাখতেন। কিন্তু অধিকাংশই পাওয়া যায়নি কারণ হয় সেগুলো হয় হারিয়ে গেছে নতুবা তিনি সেগুলো নষ্ট করেছেন। তার কবিতায় বার বার এসেছে ধর্ম, নীতিবোধ, দেশাত্মবোধ। কবিতা মুকুল (১৮৯৬) তার কাব্যগ্রন্থ। পৌরাণিক আখ্যায়িকা নামের একটি গদ্যগ্রন্থও তিনি রচনা করেন।
আদর্শ ছেলে
কুসুমকুমারী দাশের রচিত “আদর্শ ছেলে” কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমর সৃষ্টি। কবিতাটিতে একজন আদর্শ ছেলের গুণাবলী বর্ণনা করা হয়েছে। সেই ছেলেটি হবে শক্তিশালী, সাহসী, এবং দেশপ্রেমিক। সে হবে একজন সত্যিকারের মানুষ।
কবিতাটিতে কবি বলেছেন যে, আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে যে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। সেই ছেলেটি হবে একজন সত্যিকারের মানুষ। সে হবে একজন সৎ, ন্যায়পরায়ণ, এবং ধার্মিক মানুষ। সে হবে একজন দেশপ্রেমিক মানুষ। সে দেশের কল্যাণে কাজ করবে।
কবিতাটি আমাদেরকে একজন আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে।
অন্যান্য রচনা
কুসুমকুমারী দাশের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে:
- কবিতা: “মনুষ্যত্ব”, “বন্দনা”, “বসন্ত”, “মায়ের প্রতি” প্রভৃতি।
- গল্প: “দুই ভাই”, “মধু”, “কাঁচা ধানের ক্ষেতে” প্রভৃতি।
- প্রবন্ধ: “মহিলা শিক্ষা”, “নারী অধিকার”, “আধুনিক জীবন” প্রভৃতি।
মৃত্যু
কুসুমকুমারী দাশ ১৯৪৮ সালের ২৫শে ডিসেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কার লেখা
“আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে” কবিতাটি কুসুমকুমারী দাশের লেখা। তিনি একজন বাঙালি মহিলা কবি। তার জন্ম ১৮৭৫ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর এবং মৃত্যু ১৯৪৮ সালের ২৫শে ডিসেম্বর। তিনি বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রঘুনাথ দাশ ছিলেন একজন শিক্ষক এবং মাতা কৃষ্ণময়ী দেবী ছিলেন একজন গৃহিণী।
কুসুমকুমারী দাশের রচিত “আদর্শ ছেলে” কবিতাটি বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। এ কবিতাটিতে একজন আদর্শ ছেলের গুণাবলী তুলে ধরা হয়েছে। কবিতাটির প্রথম চরণটি হল:
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ?
এই কবিতাটি আজও বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি তাদেরকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করে।
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন
“আদর্শ ছেলে” কবিতায় কবি কুসুমকুমারী দাশ একজন আদর্শ ছেলের গুণাবলী বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, সেই ছেলেটি হবে একজন সত্যিকারের মানুষ। সে হবে একজন সৎ, ন্যায়পরায়ণ, এবং ধার্মিক মানুষ। সে হবে একজন দেশপ্রেমিক মানুষ। সে দেশের কল্যাণে কাজ করবে।
কবিতাটিতে কবি “কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে” বলতে বোঝাতে চেয়েছেন যে, একজন আদর্শ ছেলে শুধু কথায় বড় হবে না, সে কাজেও বড় হবে। সে শুধু কথায় কথায় বড় হবে না, সে তার কাজে তার সত্যিকারের গুণাবলী প্রদর্শন করবে।
একজন আদর্শ ছেলে হবে একজন কর্মঠ এবং পরিশ্রমী মানুষ। সে তার কাজে নিরলসভাবে কাজ করবে। সে তার কাজের মাধ্যমে তার সত্যিকারের ক্ষমতা এবং দক্ষতা প্রদর্শন করবে। সে তার কাজে ন্যায়পরায়ণ এবং সততা বজায় রাখবে। সে তার কাজের মাধ্যমে দেশের কল্যাণ করবে।
কবি কুসুমকুমারী দাশ আমাদের দেশের ছেলেদেরকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে যে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।