মাউন্ট এভারেস্ট কোথায় অবস্থিত? জানুন বিস্তারিত তথ্য

মাউন্ট এভারেস্ট কোথায় অবস্থিত? জানুন বিস্তারিত তথ্য

মাউন্ট এভারেস্ট বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এবং এটি নেপাল এবং চীনের তিব্বত অঞ্চলের সীমানায় অবস্থিত।

 

মাউন্ট এভারেস্ট উচ্চতা ৮,৮৪৮.৮৬ মিটার (২৯,০৩১.৭ ফুট) এবং এটি হিমালয় পর্বতমালার একটি অংশ। এই পর্বতশৃঙ্গকে স্থানীয়ভাবে নেপালে“সাগরমাথা” এবং তিব্বতে “চোমোলুংমা” বলা হয়, যার অর্থ “বিশ্বের দেবী”। এখানে মাউন্ট এভারেস্ট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।


মাউন্ট এভারেস্ট তিব্বতে কি নামে পরিচিত?

মাউন্ট এভারেস্ট তিব্বতে “চোমোলাংমা” নামে পরিচিত। তিব্বতীয় ভাষায় “চোমোলাংমা” (Chomolungma) অর্থ “বিশ্বের মা” বা “পবিত্র মায়ের দেবী”। এটি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের একটি প্রতিফলন।

 

বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮,৮৪৮.৮৬ মিটার (২৯,০৩১.৭ ফুট)। এটি হিমালয় পর্বতমালার অংশ এবং তিব্বতের সাথে নেপালের সীমান্তে অবস্থিত। নেপালে এটি “সাগরমাথা” নামে পরিচিত, যার অর্থ “আকাশের মাথা”।

 

মাউন্ট এভারেস্টের আধুনিক নামকরণ হয় ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক স্যার জর্জ এভারেস্টের নামানুসারে। ১৮৫৬ সালে ব্রিটিশ সার্ভে দল এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিসেবে ঘোষণা করে। তবে স্থানীয় নামগুলো, যেমন চোমোলাংমা ও সাগরমাথা, অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে।

 

চোমোলাংমা নামটি তিব্বতের প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ এবং এটি প্রকৃতির প্রতি তাদের গভীর শ্রদ্ধাবোধের প্রতীক। এই শৃঙ্গটি শুধু ভৌগোলিক দিক থেকে নয়, আধ্যাত্মিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিব্বতি ও নেপালি জনগণের কাছে এটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত।

 

মাউন্ট এভারেস্টে আরোহন করতে চাওয়া পর্বতারোহীদের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতি বছর শত শত অভিযাত্রী এই শৃঙ্গ জয় করার জন্য তিব্বত ও নেপালের বিভিন্ন রুট ব্যবহার করে। তীব্র ঠান্ডা, অক্সিজেনের অভাব, এবং বিপজ্জনক আবহাওয়া এভারেস্ট অভিযানের মূল বাধা।

                শুধু মাউন্ট এভারেস্ট নয়, উচ্চতা বাড়ছে কাছের অন্য শৃঙ্গগুলিরও- ছবি:শাটারস্টক

মাউন্ট এভারেস্টের বৈচিত্র্যময় নামকরণ ইতিহাস এই পর্বতকে কেবল ভৌগোলিকভাবে নয়, সাংস্কৃতিকভাবে এবং ঐতিহাসিকভাবে আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে।

 

মাউন্ট এভারেস্টের ভৌগোলিক অবস্থান

মাউন্ট এভারেস্ট ২৭°৫৯′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬°৫৫′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এটি হিমালয় পর্বতমালার মহালাংগুর অংশে অবস্থিত। নেপাল এবং চীনের তিব্বত অঞ্চলের সীমান্তে অবস্থিত হওয়ায় এটি দুটি দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।


মাউন্ট এভারেস্টের নামকরণ

  • ইংরেজি নাম: ব্রিটিশ ভূ-পরিমাপক স্যার জর্জ এভারেস্টের নামানুসারে এই পর্বতের নামকরণ করা হয়। ১৮৫৬ সালে, অ্যান্ড্রু ওয়াহ নামে এক ব্রিটিশ ভূ-পরিমাপক প্রথম এভারেস্টের উচ্চতা পরিমাপ করেন এবং এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ বলে চিহ্নিত করেন।

 

  • স্থানীয় নাম: নেপালে এটি “সাগরমাথা” নামে পরিচিত, যার অর্থ “স্বর্গের মাথা।” তিব্বতে এটিকে “চোমোলুংমা” বলা হয়, যার অর্থ “মহান দেবীর মা।”

এভারেস্টের আবিষ্কার এবং পরিমাপ

১৮৫৬ সালে ব্রিটিশ সার্ভে অফ ইন্ডিয়া প্রথম মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮,৮৪০ মিটার বলে ঘোষণা করে। পরবর্তীতে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে এর উচ্চতা পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। ২০২০ সালে চীন ও নেপাল যৌথভাবে এর উচ্চতা পুনরায় পরিমাপ করে, যা এখন ৮,৮৪৮.৮৬ মিটার হিসাবে গৃহীত হয়েছে।


আরোহন ইতিহাস

  • প্রথম আরোহন: ১৯৫৩ সালের ২৯ মে স্যার এডমুন্ড হিলারি (নিউজিল্যান্ড) এবং তেনজিং নোরগে (নেপাল) প্রথম সফলভাবে মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেন। এটি ছিল ইতিহাসে একটি বড় অর্জন।

 

  • নারীদের আরোহন: ১৯৭৫ সালে, জুনকো তাবেই প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন।
  • বেশি বার আরোহন: নেপালি শেরপা কামি রিতা শেরপা ২৬ বারেরও বেশি এভারেস্ট জয় করেছেন, যা একটি রেকর্ড।

মাউন্ট এভারেস্ট আরোহনের চ্যালেঞ্জ

এভারেস্ট জয় করা অত্যন্ত কঠিন এবং বিপজ্জনক। এখানে কিছু প্রধান চ্যালেঞ্জের কথা বলা হলো:

অক্সিজেনের অভাব: উচ্চতার কারণে বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে। তাই আরোহীদের সাথে অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখতে হয়।

প্রচণ্ড ঠান্ডা: তাপমাত্রা সাধারণত শূন্যের নিচে থাকে এবং শক্তিশালী বাতাস আরোহনের সময় বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

অবস্থানগত বিপদ: তুষারধ্বস (অ্যাভালাঞ্চ) এবং বরফ ফাটার ঝুঁকি থাকে।

শারীরিক ক্লান্তি: দীর্ঘ সময় ধরে আরোহণের ফলে শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি হয়।


মাউন্ট এভারেস্টের পরিবেশগত প্রভাব

মাউন্ট এভারেস্ট একটি অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ হলেও পর্যটন ও অভিযাত্রার কারণে এর পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং পরিত্যক্ত সরঞ্জামের ফলে দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 


মাউন্ট এভারেস্টে অভিযাত্রা

বর্তমানে, নেপাল এবং চীন উভয় দেশই এভারেস্টে আরোহণের অনুমতি প্রদান করে। নেপালের দিকটি তুলনামূলক জনপ্রিয় কারণ এটি আরোহনের জন্য সহজ এবং অভিযাত্রীদের জন্য আরও ভালো সেবা প্রদান করে। তবে, এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং বিপজ্জনক একটি কার্যক্রম।

 


মাউন্ট এভারেস্টের অর্থনৈতিক গুরুত্ব

এভারেস্ট পর্যটনের মাধ্যমে নেপাল এবং চীন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব অর্জন করে। প্রতিবছর হাজার হাজার অভিযাত্রী এবং পর্যটক এভারেস্ট দেখতে এবং আরোহণ করতে আসে। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে একটি বড় ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

 

মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে কত সময় লাগে?

মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় উঠা একটি অত্যন্ত জটিল ও বিপদসংকুল প্রক্রিয়া। এটি শুধু শারীরিক দক্ষতা নয়, মানসিক প্রস্তুতি, অভিজ্ঞতা, এবং পরিবেশগত পরিস্থিতির ওপরও নির্ভর করে। মাউন্ট এভারেস্টে চূড়ায় উঠার সময়কাল বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভরশীল। নিচে এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো:

 

সময়কাল নির্ধারণকারী ফ্যাক্টরসমূহ

মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে সময়কাল নির্ধারণ করে কিছু প্রধান ফ্যাক্টর:

মৌসুম:
এভারেস্ট আরোহণ সাধারণত দুইটি মৌসুমে ঘটে—প্রী-মনসুন (এপ্রিল থেকে জুন) এবং পোস্ট-মনসুন (সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর)। প্রাক-মনসুন মৌসুমে আবহাওয়া তুলনামূলক ভালো থাকে, তাই এই সময়টিতে আরোহণকারীদের সংখ্যা বেশি।

অভিজ্ঞতা ও প্রস্তুতি:
একটি অভিজ্ঞ দলের তুলনায় নতুনদের জন্য আরোহণে বেশি সময় লাগে। শারীরিক ফিটনেস, উচ্চতাজনিত রোগের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা এবং আরোহণ দক্ষতা এই প্রক্রিয়ার সময়কে প্রভাবিত করে।

রুট ও স্টেজ:
মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণে সাধারণত দুটি প্রধান রুট ব্যবহার হয়—দক্ষিণ রুট (নেপাল) এবং উত্তর রুট (তিব্বত)। দক্ষিণ রুট তুলনামূলক সহজ এবং জনপ্রিয়। পুরো যাত্রা সাধারণত কয়েকটি স্টেজে বিভক্ত থাকে:

    • বেস ক্যাম্প পৌঁছানো (৭-১০ দিন):
      নেপালের লুকলা থেকে ট্রেকিং করে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে পৌঁছাতে ৭-১০ দিন লাগে। এই সময়টিতে আরোহণকারীরা উচ্চতা এবং কম অক্সিজেনের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করেন।
    • বেস ক্যাম্প থেকে সামিট (৪০-৫৫ দিন):
      বেস ক্যাম্প থেকে চূড়ায় উঠতে এবং ফিরে আসতে সাধারণত ৪০ থেকে ৫৫ দিন সময় লাগে।

সুনির্দিষ্ট সময়সীমা

মাউন্ট এভারেস্টে উঠার পুরো প্রক্রিয়া সাধারণত দুই মাস সময় নেয়। নিচে পুরো যাত্রার ধাপগুলো উল্লেখ করা হলো:

অ্যাক্লিমাটাইজেশন (২-৩ সপ্তাহ):
উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্যাম্পে কয়েকবার যাতায়াত করতে হয়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ উচ্চ উচ্চতায় অক্সিজেনের ঘাটতি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

সম্ভাব্য আবহাওয়ার অপেক্ষা (১-২ সপ্তাহ):
সামিট ডে’র আগে আরোহণকারীরা এক উপযুক্ত “ওয়েদার উইন্ডো”র জন্য অপেক্ষা করেন। এই সময় আবহাওয়া স্থিতিশীল থাকে এবং চূড়ায় ওঠার জন্য নিরাপদ।

সামিট ডে (১২-২০ ঘণ্টা):
চূড়ায় উঠতে সাধারণত ৮-১২ ঘণ্টা এবং নামতে আরও ৪-৮ ঘণ্টা লাগে। এই দিনটি অত্যন্ত ক্লান্তিকর ও বিপজ্জনক।

                       অরুণ নদীর অববাহিকা- ছবি:শাটারস্টক

মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণের সময় যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়:

অক্সিজেনের অভাব:
চূড়ার কাছাকাছি “ডেথ জোন” (৮,০০০ মিটারের ওপরে) অক্সিজেনের মাত্রা খুব কম থাকে, যা জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।

অপ্রত্যাশিত আবহাওয়া:
হঠাৎ ঝড় বা তুষারপাতের কারণে সময়সীমা বৃদ্ধি পেতে পারে।

শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি:
দীর্ঘ সময় ধরে কঠিন পরিশ্রম করার ফলে শরীর ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

বাংলাদেশের প্রথম মাউন্ট এভারেস্ট আরোহী কে?

বাংলাদেশের প্রথম মাউন্ট এভারেস্ট আরোহী হলেন মুসা ইব্রাহীম। ২০১০ সালের ২৩ মে তিনি বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে বাংলাদেশের নাম গর্বিত করেন। এই অসাধারণ কৃতিত্ব তাকে বাংলাদেশে অভিযাত্রী জগতের একজন অন্যতম প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত করে তোলে।

 

মুসা ইব্রাহীম ১৯৭৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি অভিযাত্রা ও পর্বতারোহণের প্রতি গভীর আগ্রহী ছিলেন। এই আগ্রহ থেকেই তিনি নানা প্রতিকূলতাকে জয় করে মাউন্ট এভারেস্টে পৌঁছানোর সাহসিক পরিকল্পনা করেন।

 

এভারেস্ট অভিযান শুরুর আগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পর্বতারোহণের প্রশিক্ষণ নেন এবং বিভিন্ন ছোট-বড় শৃঙ্গ আরোহণ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ২০১০ সালে তিনি ভারতের দার্জিলিংয়ে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর নেপালের কাঠমান্ডু থেকে শুরু হয় তার এভারেস্ট অভিযাত্রা।

 

মুসা ইব্রাহীম তার দলসহ ২৩ মে, ২০১০ সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান। এটি ছিল তার জন্য এবং সমগ্র বাংলাদেশের জন্য এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। তার এই অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এভারেস্ট জয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

 

মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট অভিযান সহজ ছিল না। তাকে চরম শারীরিক এবং মানসিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। তার সাহসিকতা, ধৈর্য এবং অদম্য মানসিকতা তাকে এই বিজয়ে পৌঁছাতে সাহায্য করে। তিনি তার এই যাত্রায় প্রচুর ঝুঁকি এবং প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন।

 

বর্তমানে মুসা ইব্রাহীম বাংলাদেশের অন্যতম অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব। তিনি যুব সমাজকে পর্বতারোহণ এবং নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণে উৎসাহিত করেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার’ দেশের পর্বতারোহণ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।

 

মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয় বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি শুধু একটি ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং সমগ্র জাতির জন্য গর্বের বিষয়। তার এই অনন্য কৃতিত্ব আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সাহস, অধ্যবসায় এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে যে কোনো অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।


উপসংহার

মাউন্ট এভারেস্ট শুধুমাত্র একটি পর্বত নয়; এটি মানবজাতির চরম প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জয়ের প্রতীক। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং দুঃসাহসিক অভিযানের ইতিহাস মানুষের মনে অমর হয়ে থাকবে। তবে, এটি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। পরিবেশ সচেতনতা ও নিরাপত্তার দিকে নজর রেখে আমরা এই প্রাকৃতিক বিস্ময়কে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুরক্ষিত রাখতে পারি।

আরও পড়ুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top