সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত

সাজেক ভ্যালি কে কি বলা হয়?

সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৬৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই ভ্যালি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন।

চারদিকে মেঘের ঢেউ আর সবুজ পাহাড়ের সারি, সকালের সূর্যোদয় আর সন্ধ্যার সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, সব মিলিয়ে সাজেক ভ্যালিকে “বাংলার কন্যা” বলা হয়।

সাজেক ভ্যালি, বাংলাদেশ

সাজেক ভ্যালি মূলত তিনটি পাড়া নিয়ে গঠিত: রুইলুই পাড়া, হামারি পাড়া এবং কংলাক পাড়া। রুইলুই পাড়া সাজেকের সবচেয়ে বড় পাড়া এবং এখানেই বেশিরভাগ পর্যটকদের আবাসস্থল রয়েছে। হামারি পাড়া ও কংলাক পাড়া ছোট ছোট গ্রাম।

সাজেক ভ্যালিতে আদিবাসী লুসাই, পাংখোয়া ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী বসবাস করে। তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বজায় রেখে চলেছে। সাজেক ভ্যালি আদিবাসী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে জানার ও উপভোগ করার এক অনন্য সুযোগ।

সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হল শীতকাল। এ সময় আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং মেঘের পরিমাণ কম থাকে।

ঢাকা থেকে সাজেক যেতে কত সময় লাগে?

ঢাকা থেকে সাজেক যেতে মোট দূরত্ব ৩৩৬.৪ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত সড়ক পথে যেতে ৭ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় লাগে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক পর্যন্ত যেতে ৪ ঘন্টা সময় লাগে। তবে খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার পথে সেনাবাহিনীর স্কর্ট ছাড়া গাড়ি চলাচল করতে পারে না। স্কর্ট সাধারণত সকাল ১১টা এবং বিকাল ৩টায় ছাড়ে। তাই সকালের স্কর্ট ধরতে না পারলে বিকালের স্কর্টে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে সারাদিনের সময় লাগবে।

সুতরাং, ঢাকা থেকে সাজেক যেতে মোট সময় লাগতে পারে ৮ ঘন্টা ৩০ মিনিট থেকে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত।

তবে, ব্যক্তিগত গাড়িতে গেলে বা দীঘিনালা থেকে সাজেকগামী লোকাল গাড়িতে গেলে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।

সাজেক ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো শরৎকাল (আগস্ট-নভেম্বর)। এই সময়টায় সাজেকে মেঘের দেখা মেলে বেশি।

সাজেক উপত্যকা কোথায় অবস্থিত

সাজেক উপত্যকা বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত। এটি রাঙ্গামাটি জেলার সর্বউত্তরে মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। সাজেক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন, যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল।

সাজেক উপত্যকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৬৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এই উপত্যকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন। চারদিকে মেঘের ঢেউ আর সবুজ পাহাড়ের সারি, সকালের সূর্যোদয় আর সন্ধ্যার সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, সব মিলিয়ে সাজেক উপত্যকিকে “বাংলার কন্যা” বলা হয়।

সাজেক উপত্যকা মূলত তিনটি পাড়া নিয়ে গঠিত: রুইলুই পাড়া, হামারি পাড়া এবং কংলাক পাড়া। রুইলুই পাড়া সাজেকের সবচেয়ে বড় পাড়া এবং এখানেই বেশিরভাগ পর্যটকদের আবাসস্থল রয়েছে। হামারি পাড়া ও কংলাক পাড়া ছোট ছোট গ্রাম।

সাজেক উপত্যকায় আদিবাসী লুসাই, পাংখোয়া ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী বসবাস করে। তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বজায় রেখে চলেছে। সাজেক উপত্যকায় আদিবাসী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে জানার ও উপভোগ করার এক অনন্য সুযোগ।

সাজেক উপত্যকি ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হল শীতকাল। এ সময় আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং মেঘের পরিমাণ কম থাকে।

সাজেক ভ্রমণ গাইড

সাজেক ভ্রমণের পরিকল্পনা

সাজেক ভ্রমণের জন্য প্রথমেই আপনাকে ভ্রমণের সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে। সাজেক ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হল শরৎকাল (আগস্ট-নভেম্বর)। এ সময়টায় সাজেকে মেঘের দেখা মেলে বেশি।

সাজেক ভ্রমণের জন্য আপনি ঢাকা, চট্টগ্রাম বা অন্য যেকোনো শহর থেকে যাত্রা করতে পারেন। ঢাকা থেকে সাজেক যেতে মোট দূরত্ব ৩৩৬.৪ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত সড়ক পথে যেতে ৭ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় লাগে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক পর্যন্ত যেতে ৪ ঘন্টা সময় লাগে। তবে খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার পথে সেনাবাহিনীর স্কর্ট ছাড়া গাড়ি চলাচল করতে পারে না। স্কর্ট সাধারণত সকাল ১১টা এবং বিকাল ৩টায় ছাড়ে। তাই সকালের স্কর্ট ধরতে না পারলে বিকালের স্কর্টে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে সারাদিনের সময় লাগবে।

চট্টগ্রাম থেকে সাজেক যেতে মোট দূরত্ব ২৮০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত সড়ক পথে যেতে ৪ ঘন্টা সময় লাগে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক পর্যন্ত যেতে ৩ ঘন্টা সময় লাগে।

সাজেক ভ্রমণের জন্য আপনি খাগড়াছড়ি বা দীঘিনালা থেকে যাত্রা করতে পারেন। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যেতে চান্দের গাড়ি, জিপ, সিএনজি বা মোটরসাইকেল ভাড়া করে যেতে পারেন। দীঘিনালা থেকে সাজেক যেতে সিএনজি, মোটরসাইকেল বা জিপ ভাড়া করে যেতে পারেন।

সাজেকে থাকার ব্যবস্থা

সাজেকে থাকার জন্য বেশ কিছু রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে। রিসোর্টগুলোর ভাড়া সাধারণত বেশি হয়। হোটেলগুলোর ভাড়া তুলনামূলক কম হয়। সাজেকে থাকার জন্য আপনি আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রাখতে পারেন।

সাজেকে দেখার যা আছে

সাজেক ভ্যালি ছাড়াও সাজেকে আরও কিছু দেখার মতো জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • কংলাক পাহাড়: কংলাক পাহাড় সাজেকের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়। এখান থেকে সাজেকের অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
  • রিসাং ঝর্ণা: রিসাং ঝর্ণা সাজেকের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। এটি সাজেক থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
  • মাইলফলক ১০২: মাইলফলক ১০২ সাজেক থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখান থেকে সাজেকের অপূর্ব সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়।
  • লুসাই পাড়া: লুসাই পাড়া সাজেকের একটি আদিবাসী গ্রাম। এখানে লুসাই আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সাজেক ভ্রমণের টিপস

  • সাজেক ভ্রমণের জন্য হালকা ও আরামদায়ক পোশাক ও জুতা পড়ুন।
  • সাজেকে উচ্চতাজনিত অসুস্থতা হতে পারে। তাই সাথে করে ওষুধপত্র রাখুন।
  • সাজেকে দিনের বেলায় প্রচুর রোদ থাকে। তাই সানস্ক্রিন, টুপি ও সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
  • সাজেকে রাতে তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। তাই সাথে করে গরম কাপড় রাখুন।
  • সাজেকে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা সীমিত। তাই সাথে করে মোবাইল চার্জার, পোর্টেবল চার্জার ও পাওয়ার ব্যাংক রাখুন।

আশা করি এই গাইডটি আপনাকে সাজেক ভ্রমণের পরিক

সাজেক পাহাড়ের উচ্চতা কত

সাজেক পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ১৮০০ ফুট, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৫০ মিটার। এটি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত সাজেক ইউনিয়নে অবস্থিত। সাজেক ভ্যালির সর্বোচ্চ চূড়া হলো কংলাক পাহাড়, যা সাজেক পাহাড়ের অংশ। কংলাক পাহাড়ের চূড়া থেকে সাজেক ভ্যালিসহ আশপাশের পাহাড়-পর্বতমালা, বন-জঙ্গল, নদী-নালা সবই মনোরম দৃশ্যে ভরা।

সাজেক পাহাড়ের উচ্চতা নির্ভর করে কোন উৎস থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে তার উপর। কিছু উৎস থেকে দেখা যায়, সাজেক পাহাড়ের উচ্চতা ১৭০০ ফুট। আবার কিছু উৎস থেকে দেখা যায়, ১৯০০ ফুট। তবে বেশিরভাগ উৎস থেকে দেখা যায়, সাজেক পাহাড়ের উচ্চতা ১৮০০ ফুট।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *