১৯৭২ সংবিধানকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সংবিধান গণ্য করার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- এটি একটি প্রগতিশীল সংবিধান, যা মানুষের অধিকার এবং স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।
- এটি একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান, যা জনগণের প্রতিনিধিত্ব এবং ক্ষমতার বিভাজনকে নিশ্চিত করে।
- এটি একটি ফেডারেল সংবিধান, যা কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যে ক্ষমতার সুষম বিভাজন করে।
- এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান, যা সকল ধর্মের মানুষের সমতা নিশ্চিত করে।
১৯৭২ সংবিধানের প্রগতিশীলতার কিছু উদাহরণ হলো:
- এটি গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে।
- এটি সকল নাগরিকের জন্য মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা, ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা, এবং শিক্ষার স্বাধীনতা।
- এটি নারীর অধিকারকে বিশেষভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে নারীর ভোটাধিকার, নারীর কর্মসংস্থানের অধিকার, এবং নারীর সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার।
১৯৭২ সংবিধানের গণতান্ত্রিকতার কিছু উদাহরণ হলো:
- এটি সংসদীয় গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে।
- এটি সকল নাগরিকের জন্য সমান ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে।
- এটি রাজনৈতিক দলগুলির গঠন এবং কার্যক্রমকে নিশ্চিত করেছে।
১৯৭২ সংবিধানের ফেডারেলতার কিছু উদাহরণ হলো:
- এটি কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যে ক্ষমতার সুষম বিভাজন করেছে।
- এটি ৭টি বিভাগ এবং ৪৯টি জেলায় রাষ্ট্রকে বিভক্ত করেছে।
১৯৭২ সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার কিছু উদাহরণ হলো:
- এটি সকল ধর্মের মানুষের সমতা নিশ্চিত করেছে।
- এটি রাষ্ট্রের ধর্মকে ইসলাম ঘোষণা করেনি।
- এটি ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
অবশ্য, ১৯৭২ সংবিধানের কিছু ত্রুটিও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- এটি একটি ঐতিহ্যবাহী সংবিধান, যা পরিবর্তন এবং সংযোজনের জন্য খুব বেশি বাধাগ্রস্ত।
- এটি একটি জটিল সংবিধান, যা সাধারণ মানুষের বোঝার জন্য কঠিন।
এই ত্রুটিগুলি সত্ত্বেও, ১৯৭২ সংবিধানকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সংবিধানগুলির মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, ফেডারেল, এবং ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান, যা মানুষের অধিকার এবং স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।