বিশ্ব সাহিত্য কি?
বিশ্ব সাহিত্য হল বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষায় রচিত সাহিত্য। এটি মানবতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আমাদের বিশ্বের বিভিন্ন অংশের মানুষের জীবন এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।
বিশ্ব সাহিত্যের মধ্যে রয়েছে উপন্যাস, গল্প, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, ইত্যাদি। এটি বিভিন্ন বিষয় এবং শৈলীর অন্তর্ভুক্ত, যা মানব অভিজ্ঞতার একটি বিস্তৃত পরিসরকে প্রতিফলিত করে।
বিশ্ব সাহিত্যের কিছু বিখ্যাত উদাহরণ হল:
- ওডিসি এবং ইলিয়ড, হোমার (গ্রিক)
- ভগবদ গীতা, ভগবদ গীতা (হিন্দি)
- দ্য কিং লিয়ার, উইলিয়াম শেক্সপিয়ার (ইংরেজি)
- ডন Quixote, মিগুয়েল ডি সারভেন্তেস (স্প্যানিশ)
- কবিতার কবিতা, লুডভিগ ভ্যান বেটহোভেন (জার্মান)
- টুয়েলভ ইয়ারস অফ ওল্ড ভিক্টর, লরেন্স দারেল (ইংরেজি)
বিশ্ব সাহিত্য পড়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি আমাদেরকে:
- বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।
- আমাদের মানবিক অভিজ্ঞতার বোঝার বিস্তৃত করে।
- আমাদের চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
বিশ্ব সাহিত্য হল একটি সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য যা আমাদেরকে আমাদের চারপাশের বিশ্বকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ১৯৭৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা হলেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। এর মূল কার্যালয় ঢাকার বাংলামটর এলাকায় অবস্থিত। এছাড়া দেশব্যাপী এর শাখা রয়েছে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য হল কিশোর ও যুব সমাজকে আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা। এই সংগঠনের মূল কৌশল হলো গ্রন্থপাঠের মাধ্যমে তরুণদের সঠিক পথে পরিচালিত করা। আলোকিত মানুষ চাই শ্লোগানের উপর ভিত্তি করে সংগঠনটি বাংলাদেশে বই পড়া ও সৎ চিন্তা বিকাশ ঘটানোর জন্য কাজ করে থাকে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে:
- বই পড়া কর্মসূচি: এই কর্মসূচির আওতায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবছর ন্যূনপক্ষে ১৬টি রুচিসম্মত ও উন্নতমানের বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
- আলোর ইশকুল: এই কর্মসূচির আওতায় জ্ঞানের বিভিন্ন শাখার আনন্দময় চর্চা ও উৎকর্ষের ভিতর দিয়ে উদার দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ গড়ে তোলা হয়।
- আলোর পাঠশালা: এই অনলাইন কর্মসূচির আওতায় সারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো শিক্ষার্থী বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
- সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে বইমেলা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, নাটক, সঙ্গীত, ইত্যাদি।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন। এটি বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বিশ্বসাহিত্য সম্পর্কে গ্যেটের ধারণা
জার্মান কবি, নাট্যকার, লেখক, এবং দার্শনিক ইয়োহান ভোলফগাং ভন গ্যেটে বিশ্বসাহিত্যের ধারণার একজন প্রবক্তা ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সাহিত্য হল একটি বিশ্বব্যাপী ভাষা যা বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে সংযুক্ত করতে পারে।
গ্যেটের বিশ্বসাহিত্যের ধারণার মূল বিষয়গুলি হল:
- সাহিত্য হল একটি বিশ্বব্যাপী ভাষা যা বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে সংযুক্ত করতে পারে।
- সাহিত্য মানবতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- সাহিত্য আমাদেরকে অন্যদের অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করতে পারে।
গ্যেটের বিশ্বসাহিত্যের ধারণা তার “Weltliteratur” (Welt = বিশ্ব, Literatur = সাহিত্য) শব্দটিতে প্রতিফলিত হয়। এই শব্দটি তিনি ১৮২৭ সালে তার “Wilhelm Meisters Wanderjahre” (Wilhelm Meister’s Apprenticeship) উপন্যাসে ব্যবহার করেছিলেন।
গ্যেটের মতে, বিশ্বসাহিত্য হল এমন সাহিত্য যা “বিশ্বের সকল জাতির জন্য বোধগম্য এবং গ্রহণযোগ্য।” তিনি বিশ্বাস করতেন যে বিশ্বসাহিত্য বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
গ্যেটের বিশ্বসাহিত্যের ধারণা আধুনিক সাহিত্য সমালোচনা এবং গবেষণায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। এটি বিশ্ব সাহিত্যের বিকাশে অবদান রেখেছে এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আমাদের বোঝার প্রসার ঘটাতে সাহায্য করেছে।
বিশ্বসাহিত্যের ধারণা আজও প্রাসঙ্গিক। এটি আমাদেরকে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে এবং বিশ্বকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে।
বিশ্বসাহিত্য ও এর গুরুত্ব
বিশ্বসাহিত্য হল বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষায় রচিত সাহিত্য। এটি মানবতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আমাদের বিশ্বের বিভিন্ন অংশের মানুষের জীবন এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।
বিশ্ব সাহিত্য পড়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি আমাদেরকে:
- বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।
- আমাদের মানবিক অভিজ্ঞতার বোঝার বিস্তৃত করে।
- আমাদের চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
বিশ্ব সাহিত্যের গুরুত্ব নিম্নরূপ:
বিশ্ব সাহিত্য আমাদেরকে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। এটি আমাদেরকে বিশ্বের বিভিন্ন অংশের মানুষের জীবন এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। এটি আমাদেরকে বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য এবং মিলগুলি বুঝতে সাহায্য করে।
বিশ্ব সাহিত্য আমাদের মানবিক অভিজ্ঞতার বোঝার বিস্তৃত করে। এটি আমাদেরকে মানবতার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। এটি আমাদেরকে ভালোবাসা, ঘৃণা, সুখ, দুঃখ, ইত্যাদির মতো মানবিক আবেগগুলি সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
বিশ্ব সাহিত্য আমাদের চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি আমাদেরকে নতুন ধারণা এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে চিন্তা করতে সাহায্য করে। এটি আমাদেরকে আরও সৃজনশীল এবং সহানুভূতিশীল হতে সাহায্য করে।
বিশ্ব সাহিত্য হল একটি সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য যা আমাদেরকে আমাদের চারপাশের বিশ্বকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে। এটি আমাদেরকে আরও সচেতন এবং সহনশীল মানুষ হতে সাহায্য করতে পারে।
বিশ্বসাহিত্যের সাম্প্রতিকতম সংজ্ঞা কে প্রদান করেন এবং কবে
বিশ্বসাহিত্যের সাম্প্রতিকতম সংজ্ঞা প্রদান করেছেন ইংরেজ সাহিত্য সমালোচক এবং বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসবিদ মাইকেল ম্যান। তিনি ২০১৭ সালে “দ্য ওয়ার্ল্ড অফ লিটরেচার” নামে একটি গ্রন্থে এই সংজ্ঞাটি প্রদান করেন।
ম্যানের মতে, বিশ্বসাহিত্য হল এমন সাহিত্য যা “বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।” তিনি বিশ্বসাহিত্যের পাঁচটি মূল বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেছেন:
- বিশ্বসাহিত্য বৈচিত্র্যময়: এটি বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ভাষার, এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির সাহিত্যকে অন্তর্ভুক্ত করে।
- বিশ্বসাহিত্য মানবিক অভিজ্ঞতার একটি বিস্তৃত পরিসরকে প্রতিফলিত করে: এটি ভালোবাসা, ঘৃণা, সুখ, দুঃখ, ইত্যাদির মতো মানবিক আবেগ এবং ধারণাগুলিকে অন্বেষণ করে।
- বিশ্বসাহিত্য চিন্তাশীল এবং চ্যালেঞ্জিং: এটি আমাদেরকে নতুন ধারণা এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে চিন্তা করতে উত্সাহিত করে।
- বিশ্বসাহিত্য প্রাসঙ্গিক: এটি আমাদের বর্তমান বিশ্বের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি অন্বেষণ করে।
- বিশ্বসাহিত্য পরিবর্তনশীল: এটি নতুন প্রতিভা এবং নতুন ধারার দ্বারা নিয়মিত বিকশিত হয়।
ম্যানের সংজ্ঞাটি বিশ্বসাহিত্যের ধারণাকে আরও ব্যাপক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলে। এটি বিশ্বসাহিত্যের গুরুত্বকেও জোর দেয়, যা বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।
1894 সালে বিশ্বসাহিত্য সম্পর্কে প্রথম গ্রন্থ কোনটি
1894 সালে বিশ্বসাহিত্য সম্পর্কে প্রথম গ্রন্থটি হল “লিটরেচার অফ দ্য ওয়ার্ল্ড”। এটি রচনা করেছেন ইংরেজ সাহিত্য সমালোচক ফ্রান্সিস হেনরি বুর্নে।
এই গ্রন্থটি বিশ্বসাহিত্যের একটি বিস্তৃত পরিসরকে কভার করে, যার মধ্যে রয়েছে প্রাচীন গ্রীস এবং রোম থেকে শুরু করে 19 শতকের আধুনিক সাহিত্য পর্যন্ত। প্রতিটি যুগের এবং দেশের সাহিত্যের একটি সংক্ষিপ্তসার প্রদান করা হয়, সেইসাথে গুরুত্বপূর্ণ লেখক এবং রচনাগুলির বিশদ আলোচনা।
বুর্নে বিশ্বসাহিত্যকে “মানবতার জ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ” হিসাবে দেখেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে বিশ্ব সাহিত্য পড়া আমাদেরকে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে এবং মানবতার একটি সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য সম্পর্কে শিখতে সাহায্য করতে পারে।
“লিটরেচার অফ দ্য ওয়ার্ল্ড” একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা বিশ্বসাহিত্যের ধারণার বিকাশে অবদান রেখেছে। এটি আজও বিশ্বসাহিত্যের একটি মূল পাঠ্য হিসাবে বিবেচিত হয়।
বিশ্বসাহিত্য কি স্থানীয় সাহিত্যের সমষ্টি নাকি আউটলুকে কসমোপলিটান
বিশ্বসাহিত্য হল স্থানীয় সাহিত্যের সমষ্টি এবং আউটলুকে কসমোপলিটান উভয়ই। এটি বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ভাষার, এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির সাহিত্যকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই সাহিত্যগুলির প্রত্যেকটির নিজস্ব অনন্য স্থানীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা বিশ্বসাহিত্যকে একটি বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধ ঐতিহ্য তৈরি করে।
অন্যদিকে, বিশ্বসাহিত্য একটি বিশ্বব্যাপী ভাষাও। এটি বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। বিশ্বসাহিত্যের রচনাগুলি আমাদেরকে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে এবং বিশ্বকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
সুতরাং, বিশ্বসাহিত্য হল স্থানীয় এবং কসমোপলিটান উভয়ই। এটি বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে একটি সেতু হিসাবে কাজ করে এবং আমাদেরকে বিশ্বকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, বিশ্বসাহিত্যের স্থানীয় বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ:
- বিশ্বসাহিত্যের রচনাগুলি বিভিন্ন দেশের এবং সংস্কৃতির ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।
- বিশ্বসাহিত্যের রচনাগুলি বিভিন্ন ভাষার এবং শৈলীর ব্যবহার করে।
- বিশ্বসাহিত্যের রচনাগুলি বিভিন্ন লেখক এবং শিল্পীদের দ্বারা রচিত হয়।
বিশ্বসাহিত্যের কসমোপলিটান বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ:
- বিশ্বসাহিত্যের রচনাগুলি বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
- বিশ্বসাহিত্যের রচনাগুলি আমাদেরকে বিশ্বের বিভিন্ন অংশের মানুষের জীবন এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।
- বিশ্বসাহিত্যের রচনাগুলি আমাদেরকে মানবতার একটি সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য সম্পর্কে শিখতে সাহায্য করে।